কলকাতা ব্যুরো: যশ নিয়ে আতঙ্ক আর আশঙ্কার ছবিটা ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। আজকের পূর্বাভাস অনুযায়ী, নতুন দুশ্চিন্তার খবর রয়েছে সদ্য তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি নিয়ে। যশ বুধবার সন্ধ্যার পরে বাংলা স্থলভাগের হানা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সোমবার সকালে আবহাওয়া দপ্তরের বক্তব্য অনুযায়ী, বুধবার দুপুরের মধ্যেই নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে আছে পড়তে পারে স্থলভাগে।
সে ক্ষেত্রে গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত সমুদ্রের জল আন্দোলিত হতে পারে অনেক বেশি। কারণ বুধবার পূর্ণিমার ভরা কোটাল রয়েছে। এই অবস্থায় যদি দুপুরে পারাদ্বীপ থেকে সাগরদ্বীপ এর মধ্যে নিম্নচাপ স্থলভাগের হানা দেয়, সে ক্ষেত্রে সমুদ্রে প্রবল জলোচ্ছাসের আশঙ্কা তীব্র হচ্ছে। আর তাতেই ক্ষতির আশঙ্কা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আয়লায় নদী এবং সমুদ্র উপকূলে ক্ষতি হয়েছিল জলোচ্ছ্বাসের ফলে। সেদিনও ভরা কোটাল ছিল। এই অবস্থায় বাঁধ ভেঙেছে, গ্রামে জল ঢুকেছে, চরম ক্ষতির এক দশক পরেও এখনো বয়ে বেড়াতে হচ্ছে সেই ঘা সুন্দরবনের মানুষকে। এবার যশের ক্ষেত্রে সন্ধ্যের পরে যদি স্থল ভাগে নিম্নচাপটি ধাক্কা দিত সে ক্ষেত্রে সমস্যা কম হতো। কিন্তু দুপুরে ভরা কোটাল এর মধ্যে সেই হানায় জলোচ্ছ্বাস ব্যাপক হলে আবার নদী বাঁধ ভাঙ্গা সহ প্রবল ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে দীঘা, শংকরপুর থেকে বকখালি ফ্রেজার গঞ্জ এলাকা পর্যটকশূন্য করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যেভাবে ঘূর্ণিঝড় শক্তি বাড়াচ্ছে, তাতে দুশ্চিন্তা পিছু হচ্ছে না প্রশাসনের। যদিও আবহাওয়া অফিসের বক্তব্য, আরো কিছুটা সময় গেলে নিম্নচাপ রেখাটির গতিবিধি আরো স্পষ্ট হবে। সে ক্ষেত্রে আরও নির্দিষ্ট করে ভবিষ্যৎ অবস্থান গতি প্রকৃতি স্পষ্ট করা যাবে।