কলকাতা ব্যুরো: রাতের কলকাতায় ফের শ্লীলতাহানির ঘটনা! এবার অভিযোগের আঙুল উঠলো অ্যাপ ক্যাব চালকের দিকে। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বেহালা জেমস লং সরণি ও সত্যেন্দ্র রায় রোডের সংযোগস্থলে। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় ওই চালক এক যুবক-যুবতীকে মারধর করে রাস্তার মধ্যে তাঁদের মোটর বাইক ফেলে দিয়েছেন। অকথ্যভাষায় চলে গালিগালাজও।
আক্রান্ত তরুণী নিজেকে সংবাদমাধ্যমের কর্মী বলে পরিচয় দিয়ে বেহালা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত প্রায় সাড়ে ৮টা নাগাদ সল্টলেক সেক্টর ফাইভ এলাকা থেকে মোটরবাইকে বাড়ির দিকে ফিরছিলেন সৌরভ গাঙ্গোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বান্ধবী। জেমস লং সরণীতে তাঁদের সামনে একটি সাদা বাণিজ্যিক নম্বর যুক্ত গাড়ি চলছিল বেসামাল গতিতে। দেখা যায় চালক কানে মোবাইল ধরে কথা বলছেন, দুটি হাতই স্টিয়ারিংয়ের বাইরে।
সৌরভের দাবি, সে সময় তিনি চালকের পাশে গিয়ে মোবাইল রেখে ঠিকঠাক করে গাড়ি চালাতে বলেন। তখনই শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, গাড়ি থেকে নেমে ওই চালক মদ্যপ অবস্থায় তাঁদের মোটরবাইকটি লাথি মেরে ফেলে দেন। মারধর করা হয় সৌরভকে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তরুণীও। তাঁর উদ্দেশ্যে অকথ্য গালিগালাজ করা হয়। এমনকী ফাঁকা রাস্তায় ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
তরুণীর দাবি, তিনি ঘটনাস্থল থেকে ১০০ নম্বর ডায়াল করে পুলিশে খবর দেন। তুলে রাখেন গাড়ির নম্বর প্লেটের ছবিও কিন্তু, ততক্ষণে গাড়ি নিয়ে চম্পট দিয়েছে চালক। পরে তাঁরা বেহালা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আক্রান্ত তরুণীর দাবি, ওই গাড়িতে চালক ছাড়াও চারজন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলা। এঁরা সকলে ভাড়া গাড়ির যাত্রী, নাকি চালকের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও ব্যক্তি তা বুঝতে পারেননি তাঁরা। তবে চালক ছাড়া গাড়ির অন্য কেউ তাঁদের হেনস্থা করেননি বলে জানিয়েছেন।
সৌরভ ও তাঁর বান্ধবীর দাবি, ঘটনার সময় ব্যস্ত রাস্তায় কেউ তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। আশপাশে কোনও ট্রাফিক পুলিশকেও দেখতে পাননি। যদিও পরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। বেহালা থানার পুলিশ জানিয়েছে, চালক ও গাড়ির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে।