কলকাতা ব্যুরো: একেই বলে উকিলি বুদ্ধি! তিনি নিজের গাড়ি চড়ে যাচ্ছিলেন একাই আদালতের পথে। মুখে ছিলনা মাস্ক। ব্যাস! চোখ রাঙিয়ে এসে পুলিশ ধরল তাকে। সঙ্গে সঙ্গেই মাস্ক না পরার জন্য হয়ে গেলে ৫০০ টাকা ফাইন।আর এ বাবা….তিনি কি আর আমআদমি? এমন অবিচার হলে ছাপোষা কেরানি থেকে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ছোটেন তার বুদ্ধি ধার করতে। তিনি হলেন গিয়ে উকিল বাবু। ফলে দিলেন তিনি মামলা ঠুকে দিল্লি হাইকোর্টে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো, একা গাড়িতে যাওয়ার সময় মাস্ক না পরার। তিনি করোনা সংক্রমন ঠেকানোর বিধি ভেঙেছেন, অভিযোগ এমনই। অথচ চালানে তেমন কোনো অভিযোগ ছিলনা।এবার তিনি হাইকোর্টে দিলেন মামলা ঠুকে। অভিযোগ কি? প্রথমত বেআইনিভাবে তাকে আটকানো, তোলাবাজি, বিশাল মাপের মানসিক অত্যাচার।ফলে ৫০০ টাকার জরিমানা দিয়ে তিনি সরকারের কাছে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করলেন। সেই উকিলবাবু সৌরভ শর্মা বলেছেন তিনি বিশ বছর ধরে প্র্যাকটিস করছেন। ফলে তাকে ঘাটানো!ঘটনাটি ঘটেছে ৯ সেপ্টেম্বর দিল্লির গীতা কলোনি এলাকায়। পুলিশ তাকে আটকায়। করে দেয় জরিমানা।এই ঘটনাটা নিয়ে দিন দশেক আগেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল এই দিল্লিতেই। একা গাড়িতে যাওয়ার সময় তা পাবলিক প্লেস হিসেবে গণ্য হবে কি না সে ব্যাপারে প্রবল টানাপোড়েন তৈরি হয়। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেয়, এমন ক্ষেত্রে মাস্ক পড়তেই হবে, তেমন কোন গাইডলাইন দেওয়া হয়নি স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে।তারপরে দিল্লি পুলিশ টুইট করে জানিয়ে দেয়, এখন থেকে একা চার চাকার গাড়িতে করে কেউ যাওয়ার সময় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়। কিন্তু সে কথা কানে ঢোকেনি রাস্তায় দাঁড়িয়ে নজরদারি চালানো কনস্টেবল বা সাব-ইন্সপেক্টরের। তার ফলে তিনি সৌরভ শর্মার মতো উকিলবাবুকে ধরে ফেলে সরকারকেই ফাঁসিয়ে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মামলাটি হাইকোর্টে বিচারপতি নবীন চাওলার এজলাসে প্রাথমিক শুনানি হয়। আরো কিছু নথি সরকারকে আনার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ১৮ নভেম্বর হবে পরবর্তী শুনানি।ফলে সৌরভ শর্মা উকিলবাবুর থেকে শিক্ষা ও সাহস নিয়ে এবার এগিয়ে যেতে পারেন অন্য উকিলবাবুরাও। তক্কে তক্কে থাকতেই পারেন। পুলিশ ধরলেই ফাইনটি হাতে গুঁজে চালান হাতে নিয়ে সোজা হাইকোর্ট। আর পুলিশকর্তারা নিচু তলাকে এখনই সতর্ক না করলে, সরকারের ভাড়ার ভরতে গিয়ে উল্টে এমন করে না ফাঁসিয়ে দেন তিনি সরকারকেই।