এক নজরে

হাইকোর্টের মন্ডপ শূন্য রাখার রায়কে সমর্থন করে ডাক্তার সংগঠনের নতুন মামলা

By admin

October 21, 2020

কলকাতা ব্যুরো: পুজোর মণ্ডপ দর্শক শূন্য করতে হাইকোর্টের নো এন্ট্রি রায় নতুন মাত্রা পেয়ে গেল মঙ্গলবার রাতে ডাক্তারদের সংগঠনের দায়ের করা নতুন মামলায়। ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম নামে চিকিৎসকদের একটি সংগঠন হাইকোর্টের ওই রায়কে স্বাগত জানিয়ে মামলায় যুক্ত হয়েছে। ফলে একদিকে যখন কিছু পুজো উদ্যোক্তা ওই রায়ের বিরোধিতা করে, তা পুনর্বিবেচনা দাবিতে মামলা দায়ের করেছিল। সেখানে একটি চিকিৎসকদের সংগঠনের বর্তমান করোনা আবহে রায় সমর্থন করে মামলা দায়ের নিঃসন্দেহে অভাবনীয় ঘটনা বলে মনে করছেন আইনজীবিদের একটা বড় অংশ। বুধবার বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর ডিভিশন বেঞ্চে সব মামলাগুলি উঠবে শুনানির জন্য।

সোমবার ওই আদালত এবার রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় নাগরিকরা যাতে রাস্তায় না বেরোন সেই চেষ্টাতেই সব মণ্ডপের সামনে নো এন্ট্রি’ বোর্ড ঝুলিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। সেই রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিমকোর্টে না গিয়ে শেষ পর্যন্ত ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটি রায় পুনর্বিবেচনার দাবিতে হাইকোর্টে মঙ্গলবার মামলা দায়ের করে। সেই মামলাটি বুধবার সুনানীর কথা আছে বিচারপতি বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু এদিন ডাক্তারদের সংগঠন মামলা দায়ের করে তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।মামলায় চিকিৎসক সংগঠনের বক্তব্য, রাজ্যে যে হারে করোনা বাড়ছে, তার মধ্যে দুর্গাপূজা উপলক্ষ করে মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে সংক্রমণ আরো বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এই অবস্থায় এবার দুর্গা পূজার ভিড় বারলে কেরালার ওনাম উৎসবের পরে সেখানে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, এখানেও সেরকম আশঙ্কা থেকে যায়। ভিড় বাড়লে সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যেতে পারে যে পুজোর পরে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে বেড পাওয়া যাবে না। এই অবস্থায় তারা মনে করছেন, হাইকোর্ট যথোপযুক্ত রায় দিয়েছে। তাই এই রায় যাতে কোনভাবে পরিবর্তন না হয়, সেই দাবিতেই তারা সমর্থন জানিয়ে মামলা ঠুকে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রাজ্য সরকারের কাছে নিজেদের আশঙ্কার কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও দুর্গাপুজো গুলিকে আগের মতোই প্রায় জাঁকজমকপূর্ণ করে তোলার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল একাংশ। কিন্তু হাইকোর্টে দায়ের হওয়া মামলায় আদালত সোমবার জানিয়ে দেয় অন্তত এবার মহামারী আবহে সংক্রমণ যাতে আর বাঁরতে না পারে সেজন্য এবার বাইরে না বেরোনোই উচিত।