কলকাতা ব্যুরো: বাংলার শিক্ষার মান এখন অনেক উন্নত হয়েছে। তা বর্তমানে সিবিএসই, আইসিএসই’র সমান। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড বিতরণের অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন কর্মসংস্থানের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগে বাংলার ছেলেমেয়েদের সঙ্গে CBSE, ICSE বোর্ডের নম্বরের তফাৎ থাকত। উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেত না। এখন ৮০-৯০ শতাংশ নম্বর পান। স্ট্যান্ডার্ড এক হয়ে গিয়েছে। বাংলার প্রাথমিক শিক্ষা সর্বশ্রেষ্ঠ। যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষায় এক নম্বরে। বাংলার মেধা সবচেয়ে গর্বের। স্নাতক হলেই আমাদের ছেলেমেয়েরা বিদেশে পড়ার সুযোগ পান।
তবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী পড়ুয়াদের অনুরোধ করেন, বিদেশে পাকাপাকিভাবে থাকার পরিকল্পনা করবেন না। বিদেশে পড়াশোনা শেষে বাংলায় ফিরে আসার আর্জি তাঁর। আর্থিক বাধায় যাতে কেউ পড়াশোনার সুযোগ না হারান, তাই একাধিক প্রকল্পের বন্দোবস্ত করেছে রাজ্য সরকার। মমতা (Mamata Banerjee) জানান, সরকারি স্কুলের ছাত্রীরা এখন কন্যাশ্রী পান। তফশিলি, আদিবাসী পড়ুয়ারা শিক্ষাশ্রী স্কলারশিপ পান। অনগ্রসর শ্রেণির পড়ুয়াও বঞ্চিত নন। তাঁরা স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ পান।
বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে ৮ হাজার পড়ুয়াদের হাতে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড বিতরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া সিভিল সার্ভিস কোচিং সেন্টারের উদ্বোধন করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, গত ১০ বছরে রাজ্যে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হয়েছে। ১৪টি নতুন মেডিক্যাল কলেজ, ২৭২টি আইটিআই, ১৭৪ পলিটেকনিক, ৭ হাজার স্কুল, ২ লক্ষের বেশি ক্লাস, ৩৮১টি সাঁওতালি মাধ্যম এবং ৪ হাজারের বেশি অন্য ভাষার স্কুল তৈরি হয়েছে।
রাজ্যে কর্মসংস্থান হয়েছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, রাজ্যে ৩০ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে। যাঁরা স্কিল ট্রেনিং নিয়েছেন, যেকোনও দিন তাঁদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হবে, আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর। ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পের মাধ্যমেও কর্মসংস্থান তৈরি করা হচ্ছে।
তবে এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকেও খোঁচা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আরও একবার ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে বঞ্চনার অভিযোগ করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।