কলকাতা ব্যুরো: চলতি শীতে ঠান্ডার গ্রাফ ওঠা-নামা করছে। তাপমাত্রা কমে যখন শীতের লম্বা ইনিংসের আশা জাগাচ্ছে, তখনই খলনায়ক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। হাওয়া অফিস জানিয়েছিল, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। মাঘের শুরুতে ছন্দে ফিরবে শীত। কিন্তু তার মসৃণ যাত্রাপথে কাঁটা সেই পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং বৃষ্টির ভ্রূকুটি।
আলিপুর আবহাওয়া অফিসের আধিকারিক সৌরিশ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া পরিষ্কার থাকবে। তবে আজ থেকে উপকূলের কাছাকাছি কয়েকটি জেলায় দুই চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, কলকাতায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার ২২ জানুয়ারি একই ধরনের আবহাওয়া থাকবে। ২৩ এবং ২৪ জানুয়ারি দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ হাওয়া মাঘে বৃষ্টিপাতের কারণ।
২৩ জানুয়ারি দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা মূলত উত্তর পশ্চিম দিকে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার দু-এক জায়গায় শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৫ জানুয়ারি মেঘলা আবহাওয়া থাকলেও বৃষ্টি কমবে। ২৬ জানুয়ারি থেকে ফের আবহাওয়া পরিষ্কার হবে, জানিয়েছেন হাওয়া অফিসের আধিকারিক। আগামী ৪-৫ দিন রাতের তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি বেড়ে যাবে। বৃষ্টি কাটলে ২৬ জানুয়ারি থেকে রাতের তাপমাত্রা কমবে, ফিরবে ঠান্ডার আমেজ।
আগামী দু’দিন উত্তরের জেলাগুলো বিশেষত দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে । ২২-২৪ জানুয়ারি এই জেলাগুলোয় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বাড়বে। ২২ জানুয়ারি শনিবার এই জেলাগুলোয় শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। অকাল বৃষ্টি এবং শিলা বৃষ্টিতে শীতকালীন সবজি এবং ফসলের নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস।
বৃহস্পতিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম ৷ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম ৷ শুক্রবার ভোরে কুয়াশা থাকলেও পরে রোদ উঠবে। শুক্রবার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ২৪ ডিগ্রি এবং ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাফেরা করবে।