কলকাতা ব্যুরো: চার পুরনিগমের করোনা বিধি মেনে প্রতি বুথে ভোট করানোর মতো পর্যাপ্ত কর্মী আছে কিনা তা পর্যালোচনা করে নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট দিতে হবে হাইকোর্টকে। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে বিধান নগর, চন্দননগর, আসানসোল ও শিলিগুড়ি পুর নিগমের বর্তমানে করোনা সংক্রমণ কোন অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি কন্টাইন্মেন্ট জোনে কিভাবে ভোট করাতে চায়, সেই পরিকল্পনাও নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট আকারে জানাতে হবে হাইকোর্টকে। বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতেই এই মামলার পরবর্তী শুনানি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।
শুনানির শুরুতেই মামলাকরীর তরফে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, কোভিড পরিস্থিতির কথা কারো অজানা নয়। এমনিতেই এই পুরসভাগুলিতে ভোট অনেকদিন হয়নি। তাই এখন পিছিয়ে দিলে কোন অসুবিধা নেই। এখন ভোট হলে আরো ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হবে। শুধুমাত্র গাইডলাইন তৈরি করে অবস্থার উন্নতি করা যাবে না। নির্বাচন কমিশন যে গাইডলাইন তৈরি করেছে সেটা কোন রাজনৈতিক দলই মানছে না। একাধিক জায়গায় কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি হয়েছে। মানুষ এখান থেকে বেরিয়ে কিভাবে ভোট দিতে আসবেন? দুষ্কৃতীরা ভোট লুট করবে। কমপক্ষে এক মাস ভোট পিছিয়ে দিলে অসুবিধা কোথায়? সাগর মেলার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দিন রয়েছে, যেদিনে মানুষ পুণ্যস্নান করেন। তাই সাগর মেলা হয়তো বন্ধ করা গেল না। কিন্তু নির্বাচন করার নির্দিষ্ট কোনো দিন নেই। তাই এতদিন রাজ্য ও কমিশন বারংবার ভোট পিছিয়েছে। এখন করোনা নিয়ে বাস্তব সংকটে, তাই আদালতের ভোট পিছিয়ে দেওয়া কোনো বাধা নেই।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষে আইনজীবী জিষ্ণু সাহার যুক্তি রাজ্য সরকার এখনো মানুষের যাতায়াতের কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি।আমরা সংশোধিত গাইডলাইন জারি করেছি। মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন। রাজ্য যদি নির্বাচন কমিশনকে গাইডলাইন বাস্তবায়নে সাহায্য করে তাহলে নির্বাচন করতে কোন অসুবিধা নাই। রাজ্য সম্পূর্ন লকডাউন ঘোষণা করেনি, তাই নির্বাচন পেছানোর কোনো দরকার নেই। প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। পর্যাপ্ত ভোট কর্মী পাওয়া যাবে তো ? আপনাদের হাতে নির্বাচন পিছানোর ক্ষমতা আছে। কমিশনের উদ্দেশে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির।
রাজ্য সরকারের তরফে সরকারি কৌঁসুলি অনির্বাণ রায় বলেন নির্বাচনে হাই কমিশনের। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পর্যাপ্ত পুলিস কর্মী দিয়ে সাহায্য করতে সব সময় তৈরি।
সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর হাইকোর্টের নির্দেশ,ভোট করানোর জন্য পর্যাপ্ত কর্মী আছে কিনা তা হলফনামা দিয়ে জানাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
চার পুরসভার করোনা পরিস্থিতি কি রয়েছে তা রিপোর্ট দিয়ে জানাবে রাজ্য।