কলকাতা ব্যুরো: হাইকোর্টের মণ্ডপে “নো এন্ট্রি” নির্দেশের মধ্যেও দুই শহরে জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য রাত্রিকালীন কার্ফু শিথিল করলো রাজ্য। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্যে জারি রয়েছে রাত্রিকালীন বিষিনিষেধ। কিন্তু, জগদ্ধাত্রী পুজোর আগে এই বিধিনিষেধ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিলো রাজ্য সরকার। তবে তা মাত্র ২ দিনের জন্য। নাইট কার্ফু প্রত্যাহার করা হয়েছে মাত্র দুটি জেলার জন্য। সেগুলি হল হুগলি এবং নদিয়া। মঙ্গলবার এই মর্মে নির্দেশিকাও জারি করেছে রাজ্য সরকার।
মঙ্গলবার নবান্নের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, ১২ এবং ১৩ তারিখ অর্থাৎ সপ্তমী এবং অষ্টমীর দিন হুগলি এবং নদিয়াতে রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। রাত ১১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত যান চলাচল করতে পারবে। ফলে কৃষ্ণনগর এবং চন্দননগরে রাত জেগে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখায় আর কোনও বাধাই রইল না।
রাজ্যের এমন সিদ্ধান্তে বিভিন্ন মহল থেকে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে অন্য জেলাগুলিতে রাত ১১ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ জারি থাকবে। প্রসঙ্গত, ছট পুজো উপলক্ষে ১০ নভেম্বর এবং ১১ নভেম্বর আগেই নাইট কার্ফু শিথিল করেছে রাজ্য সরকার। ওই দু’দিন জগদ্ধাত্রী পুজোর ষষ্ঠী এবং সপ্তমী।
উল্লেখ্য, রাজ্যে করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই মর্মে নবান্নের তরফে জারি করা হয়েছে একটি নির্দেশিকাও। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাত ১১টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত বাইরে বেরনো হওয়া বন্ধ। নিষেধাজ্ঞা থাকছে যানচলাচলের উপরেও।
রাজ্যের নির্দেশিকায় স্পষ্ট চন্দননগর এবং কৃষ্ণনগরের বাসিন্দাদের রাতে মণ্ডপ দর্শনে কোনও বাধা রইল না। যদিও করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সমস্ত জগদ্ধাত্রী পুজো মণ্ডপগুলিকে ‘নো এন্ট্রি জোন’ ঘোষণা করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। দুর্গাপুজোর সময়ও রাজ্যে শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। কিন্তু, সেই সময় দেখা গিয়েছিল একাধিক মণ্ডপে নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।