এক নজরে

Mamata-Modi: বিএসএফ ইস্যুতে মোদীকে চিঠি মমতার

By admin

November 13, 2021

কলকাতা ব্যুরো: বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফের কাজের সীমানা বৃদ্ধির প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সৌগত রায় এই কথা জানিয়েছেন ৷ এর বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় একটি প্রস্তাব পাস করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন ৷

প্রসঙ্গত বিএসএফের কাজের সীমানা বৃদ্ধি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, এই বিতর্ক ছড়িয়েছে পঞ্জাব-রাজস্থানেও ৷ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনও কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে।

এতদিন সীমান্ত থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত কাজের এক্তিয়ার ছিল বিএসএফের কিন্তু সম্প্রতি সেই সীমা বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্র। বদলে বিএসএফের কাজের এক্তিয়ার সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত করে দেওয়া হয় ৷ আর এই নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে ৷

সৌগত রায়ের অভিযোগ, কেন্দ্র এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে ৷ এই নিয়ে ইস্যুতে সংসদেও তাঁরা সরব হবেন ৷ তাছাড়া সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়ার কাজও কেন্দ্রের করা উচিত। রাজ্য শুধু এতে সাহায্য করবে ৷

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে পঞ্জাব সরকারও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে ৷ তারা সেখানকার বিধানসভায় এর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে প্রস্তাব পাস করিয়েছে। এবার সেই পথেই হাঁটতে চায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারও।

অন্যদিকে শুক্রবারই বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধি নিয়ে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লা। শুক্রবার দুপুরে নিউটাউনের হিডকো ভবনে তিনি বৈঠক সারেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজি বিএসএফের সঙ্গে। সীমান্তবর্তী জেলা গুলির মধ্যে দুই ২৪ পরগনা, দুই দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, নদিয়া, মালদা ও মুর্শিদাবাদের জেলা শাসকরা এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া  রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা, ভূমি সচিব স্মারকি মহাপাত্র এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যও এই বৈঠকে অংশ নেন।

তবে শুক্রবারের বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে যে প্রেজেন্টেশন দেখানো হয়, তাতে ত্রুটির অভিযোগ তোলে রাজ্য। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবের বৈঠকে মূলত তিনটি বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রথমটি, সীমান্তে কাঁটা তার দেওয়া নিয়ে। দ্বিতীয়টি ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট বসানো নিয়ে এবং তৃতীয়টি বর্ডার আউটপোস্ট নির্মাণ নিয়ে। অভিযোগ, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে রাজ্যের সীমান্ত চৌকি নিয়ে ভুল ছিল। রাজ্যের অফিসার এবং জেলা শাসকরা সেই ভুল ধরিয়ে দেন। এছাড়াও প্রেসেন্টেশনে কয়েকটি জায়গার নাম এবং জেলার নামও ভুল উল্লেখ করা ছিল। কেন্দ্রীয় রিপোর্টে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তার সঙ্গে রাজ্যের বাস্তব চরিত্রের অনেক পার্থক্য রয়েছে। এই নিয়ে বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অফিসারদের সঙ্গে রাজ্যের অফিসারদের মতবিরোধ হয়। 

বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফের সীমানা বৃদ্ধি নিয়ে এমনিতেই পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাবের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই সংঘাত চলছে কেন্দ্রের। আর সেই বিবাদ মেটাতেই এদিন রাজ্যে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় কুমার ভাল্লা। উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকে রাজ্যের নিরাপত্তা সহ একাধিক বিষয়ে বিস্তর আলোচনা হয়।