কলকাতা ব্যুরো: বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানোর বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। পঞ্জাবের পর দ্বিতীয় রাজ্যে হিসেবে এরকম কোনও প্রস্তাব পাশ করল পশ্চিমবঙ্গ।
মঙ্গলবার বিধানসভায় শীতকালীন অধিবেশনে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধির বিরুদ্ধে পেশ করা হয়। সেই প্রস্তাবের সমর্থন করেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়করা। পাল্টা বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, দেশের সুরক্ষার জন্য বিএসএফের ক্ষমতা বাড়ানো উচিত। সেজন্য আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফের কাজের পরিধি বাড়িয়েছে কেন্দ্র।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তো দাবি করেন, ৫০ কিলোমিটারের পরিবর্তে বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়িয়ে ৮০ কিলোমিটার করা উচিত। তবে এদিন বিধানসভায় দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহের মন্তব্য ঘিরে তুলকালাম শুরু হয়। বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়, নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামীর এক পা ভাঙা দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন উদয়ন।
যদিও পরে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন উদয়ন। তাঁর দাবি, ‘বন্ধু’ হিসেবে মিহিরকে ‘লাফালাফি’ করতে বারণ করেছেন। যাতে তাঁর অন্য ‘পা ভেঙে যায়।’ সেই পরিস্থিতিতে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। সেইসবের মধ্যেই বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ানোর বিরুদ্ধে বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। সেই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১১২ টি। বিপক্ষে ৬৩ টি ভোট পড়েছে।
প্রস্তাব পাশের পর পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, বিএসএফের ক্ষমতার পরিধি বৃদ্ধির বিজ্ঞপ্তিতে পিছনের দরজা দিয়ে কেন্দ্রীয় শাসনের ইঙ্গিত আছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। যা সংবিধান-বিরোধী। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো সেই সিদ্ধান্তের আগে রাজ্যের অনুমোদন নেয়নি কেন্দ্র।
সেইসঙ্গে পার্থবাবু আরও দাবি করেন, রাজ্য পুলিশের ক্ষমতা খর্বের চেষ্টা করা হয়েছে। ১১ টি জেলায় রাজ্য পুলিশের ক্ষমতা খর্ব হবে। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশের দক্ষতা প্রশ্নাতীত।