কলকাতা ব্যুরো: শহরে আরও কিছুটা কমলো তাপমাত্রার পারদ। সোমবার সকাল থেকেই পরিষ্কার মেঘমুক্ত রোদ ঝলমলে আকাশ। সঙ্গে শীত শীত অনুভূতি। ইতিমধ্যেই ঘরে ঘরে বেরিয়ে পড়েছে লেপ-কম্বল-সোয়েটার। অথচ এর মধ্যেই নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে নিম্নচাপ। দিল্লির মৌসম ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরের উপর একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবারই সেই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে বলে উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে। তা ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা তৈরি করছে বলেও পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ওই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব পড়তে পারে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে।

নিম্নচাপ এবং সাইক্লোনের এই শঙ্কা কাটলে জাঁকিয়ে শীত পড়তে পারে বলেই পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। তবে সোমবার সকালেই শহর কলকাতা কিছুটা হলেও টের পেয়েছে আগাম শীতের। এদিন কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৩ শতাংশ।

আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে নিম্নচাপ অক্ষরেখাটি ক্রমশ শক্তি বাড়াতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় তা আরও শক্তিশালী হয়ে পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিকে এগোতে থাকবে। তার ফলে আগামী ৩০ নভেম্বর ও ১ ডিসেম্বর আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তবে এর প্রভাব পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির উপর কতটা পড়বে তা এখনও স্পষ্ট করেনি হাওয়া অফিস।

পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৯ নভেম্বর থেকে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে উপকূলবর্তী এলাকায়। ২৯ নভেম্বর দক্ষিণ আন্দামান সাগরে প্রতিঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। ৩০ নভেম্বর আন্দামান সাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে এবং ১ ডিসেম্বর পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে ঝড়-ঝঞ্ঝার পূর্বাভাস রয়েছে।

এদিকে, দক্ষিণ-উত্তর মিলিয়ে আগামী ২-৩ দিনের রাতের তাপমাত্রা অন্তত পক্ষে ২ ডিগ্রি করে নামবে রাতের তাপমাত্রা। আগামী পাঁচদিন উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকবে বলেই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version