কলকাতা ব্যুরো: বিজেপির নবান্ন অভিযানে হাওড়ায় বৃহস্পতিবার এক ব্যক্তির কাছ থেকে রিভলবার উদ্ধার হওয়ার পর হুলছুল বেঁধে যায়। পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় দেখা যায়, ওই শিখ যুবককে ধরে টানাটানি করছে পুলিশ। পুলিশের টানাটানি সময় তার পাগড়ী খুলে যায় বলে অভিযোগ। তিনি পাগরিটি বাঁধার চেষ্টা করতে করতেই পুলিশ তার ঘাড় ধরে টানতে থাকে।
এই ঘটনার প্রচারের পর সারাদেশে এই ভিডিও ভাইরাল হয় যায়। এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ভারতীয় দলের ক্রিকেটার হরভজন সিং এ ব্যাপারে টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। টিভিতে দেখা যাওয়া ওই যুবকের নাম বলবিন্দর সিং। তিনি বিজেপির ব্যারাকপুরের এক নেতার দেহরক্ষী ছিলেন। তার পিস্তল লাইসেন্সপ্রাপ্ত। তবে সেটি থেকে কাশ্মীরের রযৌড়ি থেকে লাইসেন্স করানো।


ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই চতুর্দিকে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয়েছে। কারণ শিখদের পাগড়ি সবচেয়ে সম্মানের জায়গায় থাকে। সেই পাগড়ি বাধতে না দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন দিক থেকে সমালোচনা শুরু হতেই, এদিন সন্ধ্যায় রাজ্য পুলিশের তরফে বিবৃতি জারি করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, পুলিশ ওই ব্যক্তির পাগড়ি ধরে টানাটানি করে নি। ওই ব্যক্তির পাগড়ি খুলে যাওয়ায় পুলিশ তাকে তা বেধে নেওয়ার সময় দিয়েছিল। এ রাজ্যের পুলিশ কখনোই কোন ধর্মীয় বিষয়কে অসম্মান করে না বলেও দাবি করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের তরফে প্রকাশিত ওই ট্যুইট এ। এমনকি পুলিশ বক্তব্যের সমর্থনে একটি ভিডিও প্রকাশ করে এ দিন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version