কলকাতা ব্যুরো: ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ফের ‘ভুয়ো’ ভোটার। এবার আর লাইন কিংবা বুথে নয়, একেবারে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের শৌচাগারে ভুয়ো ভোটারদের লুকিয়ে রাখার অভিযোগ করেছে বিজেপি। পুলিস দেখে ভুয়ো ভোটাররা দৌড়ে পালায় বলে অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থী তাঁকে তাড়াও করেন। যদিও দৌড়ে চম্পট দেয় সে। বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস জানার অভিযোগ, শৌচাগারেও ভুয়ো ভোটারদের ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একাধির বুথের লাইনে ভুয়ো ভোটাররা দাঁড়িয়ে থাকায় অযথা লম্বা লাইন তৈরি হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে এসে লাইন দেখে বিভ্রান্ত হচ্ছেন।

দেবাশিস জানা বলেন, ওয়ার্ডের একাধিক জায়গায় ‘ভুয়ো ভোটার’দের দৌরাত্ম্য দেখা যাচ্ছে। পুলিস দেখেও কোনও পদক্ষেপ করছে না। একটি বুথে মোট ভোটার ৭৩৮। সকাল ১০টার মধ্যেই সেখানে ৩৩৯টি ভোট পড়ে গিয়েছে। বিধাননগরের ইতিহাসে কোনওদিন এমনটা হয়নি বলেও দাবি করেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী উমাশঙ্কর ঘোষ দস্তিদার এএইচ কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে বেশ কিছু ভুয়ো ভোটারকে আটকান বলে দাবি করেছেন। যদিও তাঁর এই দাবি ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছে রাজ্যের শাসকদল।

রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয় বিজেপি প্রার্থী ভুয়ো ভোটারকে তাড়া করেন। তাঁর দাবি, ওই ব্যক্তির কাছে ভোটার কার্ড দেখতে চাইলে তিনি পালিয়ে যান। তৃণমূল বুথে ভুয়ো ভোটার ঢোকাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, তৃণমূল নেতৃত্বই ভুয়ো ভোটার আমদানি করেছে। যদিও তৃণমূলের পাল্টা বক্তব্য, হেরে যাবে বুঝেই নাটক করছে বিজেপি। বিধাননগর পুরনিগমের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রিসাইডিং অফিসার আই কার্ড চেক করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনে এই অভিযোগ এসেছে। এই বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version