%%sitename%%

এক নজরে

Water Crisis Kolkata: জলমগ্ন দক্ষিণ কলকাতা, পানীয় জলের তীব্র সংকট

By admin

September 25, 2021

কলকাতা ব্যুরো: জলযন্ত্রণায় ভুগছে মানুষ ৷ ঘূর্ণাবর্তের জেরে বৃষ্টিপাতের পর পাঁচদিন কেটে গেলেও দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এখনও জল জমে রয়েছে। আনন্দপুর, দীনেশ নগর, দাসপাড়া, মুকুন্দপুর, পূর্ব যাদবপুর, সার্ভে পার্ক, গড়িয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা এখনও জলমগ্ন। এমনকি বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালগুলোর ভেতরেও ঢুকে গিয়েছে বৃষ্টির জল। এতে পানীয় জলে তীব্র সংকট তৈরি হয়েছে ওইসব এলাকাগুলিতে।

উপরোক্ত এলাকাগুলির অধিকাংশ রাস্তা জলের নিচে। জমা জলে পানীয় জলের কলগুলি ডুবে গিয়েছে। পূর্ব যাদবপুরের অধিকাংশই বাড়ির সেফটি ট্যাংক বৃষ্টির জমা জলের নিচে। পরিস্থিতি এতটাই সংকটজনক যে টিউবওয়েলের চারপাশেও দেড় থেকে দুই ফুটের বেশি জল জমে রয়েছে। ফলে পানীয় জলের দূষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে। সংক্রমণের আশঙ্কা কলকাতা পুরনিগম প্রতিদিন প্রায় ৩০টি পানীয় জলের গাড়ি পাঠাচ্ছে জলমগ্ন এলাকাগুলিতে।

তবে পানীয় জলের সংকট মেটাতে তৎপর কলকাতা পুরনিগম ৷ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলিতে দিনে দু’বার করে পানীয় জলের গাড়ি পাঠানো হচ্ছে পুরনিগমের তরফ থেকে। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দারা ফোন করলেই পানীয় জলের গাড়ি পাঠানো হচ্ছে। কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য ও বিধায়ক দেবব্রত মজুমদার জানিয়েছেন, পূর্ব যাদবপুরের পরিস্থিতি ভয়ানক। বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে রয়েছে। পানীয় জলের সংকট তৈরি হয়েছে। বহু বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। তাই পাম্প বন্ধ রয়েছে। বৃষ্টির জল যাওয়ার স্বাভাবিক পথগুলো বন্ধ করে বড় বড় আবাসন ও বাড়ি তৈরী হওয়ার ফলেই এই কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিলাসবহুল আবাসনে থাকা মানুষেরা নিয়মিত জল কিনে খাচ্ছেন।

আর এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যক্তি ৫০০ টাকা দরে জল বিক্রি করছে। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি যে খুবই খারাপ তা স্বীকার করে নিয়েছেন যাদবপুরের বিধায়ক। কলকাতা পুরনিগমের নিকাশি বিভাগের প্রধান তারক সিং মুকুন্দপুর পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন। চৌবাগা বানতলা লকগেট পরিদর্শন করেন তিনি। এছাড়া বিদ্যাধরী নদীর দিকে ঘুশিঘাটা পর্যন্ত পরিদর্শন করেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, শহরের লাগোয়া খালগুলির সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে ৷ না হলে এই সমস্যার সমাধান হবে না। তাহলে এতদিন ধরে সেচ দফতর কেন এই খালগুলি সংস্কার করেনি? এই বিষয়ে কোনও সদুত্তর নেই সেচ দফতর বা কলকাতা পুরনিগমের কাছে।