কলকাতা ব্যুরো: ঘূর্ণিঝড় যশের আতঙ্কে যেমন ভুগছে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা বা এ রাজ্য, তেমনই প্রমাদ গুনছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সুন্দরবন লাগোয়া খুলনা এলাকায় প্রবল ক্ষতি করতে পারে বলে আশঙ্কায় সেখান থেকে বাসিন্দাদের দূরে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা, পায়রা এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কায় এক নম্বর সতর্কতা জারি করেছে বাংলাদেশ প্রশাসন।
সেখানকার বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী এনামুর রহমান বলেছেন, বিভিন্ন জায়গায় বিপর্যয় মোকাবিলায় তৈরি হয়েছে সেল্টার। সেখানেই নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
যশ এর গতিপথ কিছুটা বদল হওয়ায় এখন পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোয় নিয়ে বাড়তি মাথাব্যথা তৈরি হয়েছে প্রশাসনের। এখন পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুরের কাছেই উড়িষ্যার বালাসরে নিম্নচাপটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে। ফলে পূর্ব মেদিনীপুরের প্রবল ক্ষতি হবে। ফলে এবার নিম্নচাপের প্রভাবে জঙ্গলমহলের জেলা গুলি হঠাৎ করেই বিপদের মুখে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তারই সঙ্গে নিম্নচাপটি পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর উপর দিয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেক্ষেত্রে ঝাড়খন্ডে ব্যাপক বৃষ্টি হলে আবার বাঁধ গুলির জল বেশি হলে তা ছাড়লে নতুন করে এ রাজ্যে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি নিম্নচাপটি পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর হয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে এগিয়ে যাওয়ায় নতুন করে এই জেলা গুলিকে সর্তকতা অবলম্বন করতে নির্দেশ দিয়ে এদিন জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে করোনা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি প্রবল ঝড় এবং লাগাতার বৃষ্টিতে মানুষের সমস্যা দূর করতে এখন থেকে পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যেসব হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা হচ্ছে, সেসব জায়গায় একাধিক জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে। কারণ ধরে নেওয়া হচ্ছে, এত বড় বিপর্যয়ের পর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে কয়েকদিন। সে ক্ষেত্রে যাতে নতুন করে করোনা চিকিৎসা ব্যাহত না হয় সেদিকেও নজর রাখার কথা বলা হয়েছে।