কলকাতা ব্যুরো: নন্দীগ্রামে ভোট গণনায় কারচুপি করে তৃণমূলকে হারানো হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে প্রায় নজিরবিহীনভাবে হাইকোর্টে মামলা করলেন সেখানকার পরাজিত প্রার্থী তথা তৃণমূল নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মামলা দায়ের করেছেন নন্দীগ্রামে বিজেপির প্রার্থী তথা বর্তমান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার হাইকোর্টে মামলার যে সূচি অনলাইনে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে, সেখানেই দেখা যাচ্ছে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে মামলাটি ওঠার কথা।
নির্বাচন পিটিশন আবেদন হাইকোর্টে দায়ের হওয়া নিয়ে আইনজীবীদের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। যদিও আইনজীবীদের একাংশের মতে, নির্বাচন শেষ হওয়ার এক মাসের মধ্যে নির্বাচন সংক্রান্ত কোন অভিযোগ থাকলে তা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা বিচারককে আদালতে অভিযোগ জানাতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে একমাস পেরিয়ে যাওয়ার পরেই হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। ফলে আইনত কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
যদিও যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এই মামলা করেছেন, তাতে যথেষ্ট চমক রয়েছে বলে মনে করছেন বর্ষিয়ান আইনজীবীরা। তাদের মতে, সাধারণভাবে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্যপালের মত পদাধিকারীরা নিজেরা মামলা করেন না। কিন্তু এক্ষেত্রে সেটাই ঘটেছে। যা এক কথায় প্রায় নজিরবিহীন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে এই মামলা লড়ার কথা আইনজীবী সঞ্জয় বসুর। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গণনায় কারচুপি করে তৃণমূলকে হারানো হয়েছিল। তাই ওই নির্বাচন বাতিলের দাবিতে আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। শুক্রবার মামলাটি আদপেই শুনানির জন্য ওঠে কিনা, এখন এটাই দেখার জন্য সকলের আগ্রহ।