কলকাতা ব্যুরো: মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) বাসভবনের নিরাপত্তায় গাফিলতি। তার জেরে দায়িত্ব থেকে সরানো হল রাজ্যের ডিরেক্টর অফ সিকিউরিটি (Director of Security) বিবেক সহায়কে। তবে একধাক্কায় ১৫ জন আইপিএস পদমর্যাদার পুলিসকর্তাদের রদবদল ঘটানো হলো রাজ্যে৷ তবে শুধু কলকাতা পুলিস নয়, ব্যারাকপুর কমিশনারেট থেকে শুরু করে রদবদলের আঁচ গিয়ে পড়েছে জলপাইগুড়িতেও৷
আইপিএস বিবেক সহায় যিনি এতদিন ডিজিপি পদমর্যাদার ডিরেক্টর সিকিউরিটি পদে ছিলেন তাঁকে পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপি প্রভিশনিংয়ে নিয়ে আসা হল৷ একইসঙ্গে এডিজি আইজিপি পদে থাকা পীযূষ পাণ্ডেকে ডিরেক্টর সিকিউরিটি পদে নিয়ে যাওয়া হলো৷ প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) নিরাপত্তার বিষয়টি যে এই রদবদলের সময় গুরুত্ব পেয়েছে তা প্রথম দুই ব্যক্তির বদল দেখে মনে করা হচ্ছে৷
নীরজ কুমার সিং এতদিন দায়িত্ব সামলেছেন এডিজি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পদের৷ সেখান থেকে সরিয়ে তাঁকে সিজি হোম গার্ড করা হয়েছে৷ ব্যারাকপুর পুলিস কমিশনার মনোজকুমার বর্মারও পদের বদল ঘটেছে৷ তাঁকে আইজিপি পদমর্যাদার অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর সিকিউরিটি করা হয়েছে৷ একই সঙ্গে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে আইনশৃঙ্খলা আইজিপি করা হয়েছে৷

এছাড়া মনোজ বর্মার জায়গায় দায়িত্বে এলেন অজয়কুমার ঠাকুর৷ এতদিন অজয়কুমার ব্যারাকপুর কমিশনারেটের যুগ্ম পুলিস কমিশনার (ক্রাইম) পদে ছিলেন৷ বদল ঘটেছে চন্দননগর পুলিস কমিশনারেটেও৷ এতদিন পুলিস কমিশনার ছিলেন অর্ণব ঘোষ৷ রদবদলের পর চন্দননগর পাচ্ছে জলপাইগুড়ি রেঞ্জের ডিআইজি অমিত পি জাভালগিকে৷ অর্ণব ঘোষকে ডিআইজি হোম গার্ড করা হয়েছে৷ বুধবার এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করে নবান্ন।
বুধবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। সেখানেও এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে তোলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়-সহ কয়েকজন মন্ত্রী। তাঁরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। উদ্বেগ প্রকাশ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রস্তাব দেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এরপরই রদবদল করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে।
উল্লেখ্য, শনিবার রাতে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ এড়িয়ে লোহার রড হাতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়েছিলেন হাফিজুল মোল্লা নামে এক যুবক। রবিবার সকালে তাঁকে আটক করে কালীঘাট থানার পুলিশ। তারপর থেকেই নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন ওঠে। বিবেক সহায়কে ডেকে অসন্তোষের কথা জানিয়ে দেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তখনই বদলির ইঙ্গিত মিলেছিল। আর বুধবার তাতে সিলমোহর দিল নবান্ন।