কলকাতা ব্যুরো: ত্রিপুরার উপনির্বাচনেও ঝরলো রক্ত। মার খেলেন পুলিশ কর্মী। কোথাও আবার ভোটারদের ভোটই দিতে দেওয়া হল না। বুথ থেকে বের করে দেওয়া হল পোলিং এজেন্টদের। আর প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভিযোগের তীর বিজেপি আশ্রিত গুন্ডাদের দিকে। নির্বাচন কমিশনে একাধিক অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি বলেই দাবি তাঁদের।

বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার চার বিধানসভা আসন-আগরতলা, টাউন বরদোয়ালি, সুরমা এবং যুবরাজনগরে উপনির্বাচন। নিজেদের সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। আবার এই ভোট বিজেপি-কংগ্রেসের প্রেস্টিজ ফাইট। বড়দোয়ালি টাউন কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা। আবার সদ্য বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে ফেরা সুদীপ রায় বর্মনও আগরতলা কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিয়েছেন। ফলে নামে উপনির্বাচন হলেও চার কেন্দ্রের ভোট নিয়ে ত্রিপুরার রাজনীতির পারদ চড়েছে। এর মাঝেই ভোটের আগের রাতে বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠল সুরমা কেন্দ্রে।

ভোটের দিন সকাল থেকেও সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে। আগরতলা বিধানসভা কেন্দ্রর অভয়নগর স্কুল সেন্টারে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন পুলিশ কর্মী সস্ত্রীক সমীর সাহা। অভিযোগ, তাঁকে ভোট দিতে বারণ করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এরপরই তাঁর পেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে জিবি হাসপাতালে ভরতি করা হয়।

তৃণমূলের প্রশ্ন, একজন পুলিশ কর্মী এমনভাবে মার খেলে আমজনতার কী হবে? নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে রাজধানীর দু’টি বিধানসভা ক্ষেত্র-আগরতলা এবং বরদোয়ালি টাউন থেকে। একই অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মন। বলেন, ভোটের নামে প্রহসন চলছে। বিজেপি বহিরাগতদের এনে সন্ত্রাস চালাচ্ছে। পুলিশ নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে। কোনও পদক্ষেপ করছে না।

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আগরতলার পুলিশ সুপার এন ভেঙ্কটেশ বলেন, যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। যেখান থেকে অভিযোগ পাচ্ছি সেখানে পুলিশ বাহিনী যাচ্ছে। নির্ভয়ে ভোট দিন। ইতিমধ্যে ১৫ জন জন বহিরাগতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version