কলকাতা ব্যুরো: শিক্ষাঙ্গনে যৌন হেনস্থা অভিযোগ মানেই যৌন হেনস্থার উপাদান আছে কি না সেটা দেখা দরকার, মন্তব্য হাইকোর্টের।
“অভিযোগ আদৌ যৌন হয়রানির কিনা তাই সবার আগে খতিয়ে দেখতে হবে বলে মনে করে আদালত। এক অধ্যাপক কে তার সহকর্মীর আনা যৌন হেনস্থার অভিযোগ থেকে সাময়িক মুক্তি দিতে গিয়ে এই পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, আগামী ১০ দিনের মধ্যে আইসিসি বা কলেজের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি নতুন করে তৈরি করতে হবে। তারপরে পুনরায় সেই অভিযোগের বিচার করে কমিটি আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে তার রিপোর্ট দেবে।
অভিযোগের গুরুত্ব থাকলে তবেই ICC বা ইন্টারনাল কমপ্লেইন্টস কমিটি গঠন করা যায় বলেও মন্তব্য করেছে আদালত। ওই অধ্যাপিকা কে সহকর্মী অধ্যাপক মুখে কিছু কথা বলেছিলেন। তার মধ্যে যৌন নিগ্রহের উপাদান আছে কি না টা নিয়ে স্পষ্ট রায় নেই আইসিসি র। ফলে আইসিসির ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার সুপারিশও বাতিল করেছে আদালত।
বিদ্যাসাগর কলেজের অর্থনীতির অধ্যাপকের মামলায় নতুন করে ICC গঠন করে অভিযোগ যৌন হেনস্থার খতিয়ে দেখতে নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহা’র।
অধ্যাপক কে বরখাস্ত অথবা বদলির নির্দেশ বাতিল করে দিলো হাইকোর্ট।
অর্থনীতির অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনেন একজন অধ্যাপিকা।
কলেজে আইসিসি সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন অধ্যাপক।