কলকাতা ব্যুরো: একদিকে করোনার প্রতিষেধক দেশে তৈরীর ক্ষেত্রে তার আত্মনির্ভর ভারতের জোরদার বিজ্ঞাপন, অন্যদিকে আগামী ২১ জুন থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সী দের একেবারে বিনে পয়সায় টিকা দেওয়ার ঘোষণা – এই দুই বার্তা সোমবার বিকেল পাঁচটায় টিভিতে এসে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন, রাজ্যগুলিকে যে ২৫% দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তাও বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশে আরো তিনটি প্রতিষ্ঠান টিকা উৎপাদনে দ্রুত কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে নাকের ড্রপ দিয়ে টিকা তৈরি চেষ্টা এ দেশে চলছে বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
সোমবার বিকেলে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষনে দেশে বিরোধী দল শাসিত রাজ্য গুলির তরফে তার সরকারের টিকাকরণ নীতির বিরোধিতা করা হয় বলেও এদিন কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। যদিও তিনি জানিয়ে দেন, মে মাস থেকে রাজ্যগুলি চাওয়ায় তাদের দায়িত্ব নিয়েই কাজ ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। এদিন মোদি জানান, দেশে এখনো পর্যন্ত ২৩ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আর এই কথা জানাতে গিয়ে মোদির বক্তব্য, ভাগ্যিস দেশে এত দ্রুত বিভিন্ন কোম্পানি টিকা আবিষ্কার করতে পেরেছে। না হলে কি হতো বলা মুশকিল।গত ১০০ বছরে এই প্রথম দেশ এমন মহামারীর মধ্যে পড়েছে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, দেশের বিজ্ঞানী- চিকিৎসকরা একসঙ্গে লড়াই করে অনেকটাই করোনা কে জব্দ করতে পেরেছেন। একইসঙ্গে করোনা যোদ্ধাদের দেশ টিকা দিতে পারায়, তারা এই লড়াই এখনো চালিয়ে যেতে পারছেন।
প্রধানমন্ত্রী এদিন ১৮ বছরের বেশি বয়সের মানুষদের করোনার টিকা দান সম্পর্কে নিশ্চিত করলেও, নাবালকদের ক্ষেত্রে এই টিকা কবে থেকে দেওয়া হতে পারে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলেননি। তবে তিনি আশ্বস্ত করেছেন, নাবালক বা ছোটদের টিকা দেওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা চলছে। এ দিন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, এমন একটা রোগের সঙ্গে লড়াই করার কথা কেউ কখনো ভাবেনি। অথচ গত বছর থেকে এই পর্যন্ত এই রোগের সঙ্গে লড়ার জন্য কত হাসপাতাল তৈরি হয়েছে, অক্সিজেন প্লান্ট গড়ে তোলা হয়েছে। অক্সিজেন পাঠানো হয়েছে আকাশপথে, রেলপথে। ফলে এই লড়াই সকলের লড়াই, যা সবাই মিলে লড়ছে।