মৈনাক শর্মা
সোমবারই ভারত সফরে আসছেন মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার। তারা দিল্লিতে প্রতিরক্ষা ও বিদেশ মন্ত্রী-সহ একাধিক দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিভিন্ন বিষয়ে দু পক্ষের আলোচনার কথা। মার্কিন বিদেশমন্ত্রীর এই আগমন ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে।
ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর ভারত সফরে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে অন্য দেশগুলিকে শক্তিশালী করার এক প্রচেষ্টা হিসেবেই দেখছেন কূটনীতিকরা। যদিও বর্তমান আবহে ওয়াসিংটনের উদ্দেশ ইন্দো প্রশান্ত মহাসাগরে চিনকে দমনের জন্য কয়ার্ড (QUAD) গঠনের প্রতিশ্রুতি আদায় বলে মনে করছে অন্য একটি।মহল। তাদের ধারণা, বেসিক এক্সচেঞ্জ এন্ড কোঅপারেশন অগ্রিমর্ন্ট ফর জিওস্পটিয়াল কোঅপারেশন (BECA ) কে সাক্ষর করা নোর লক্ষ্যে ই মার্কিন মন্ত্রীর সে সফর।কারণ এটা করানো গেলে, ভোটের আগে মার্কিন নাগরিক মহলে এক উত্তেজনার কারণ সৃষ্টিতে সক্ষম হয়।
কিন্তু এই প্রতিশ্রুতি ভারতের জন্য কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে বিশ্ব রাজনীতিতে। এর আগেও আমেরিকার ভোটের আগে অগাস্ট ২০১৬ সালে সাক্ষাৎ হয় ভারত ও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি ও সুষমা স্বরাজের। এই সাক্ষাতে ওয়াসিংটন দিল্লিকে প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তিতে সাক্ষরে পরামর্শ দে য় ও এর জন্য ভারতকে গ্রীন ক্লাইমেট ফান্ড দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়ে যায়। ঠিক দু মাস পরেই ২ অক্টোবর ২০১৬ তে দিল্লি সেই চুক্তি স্বাক্ষর করে। ২০১৭ সালে ডোনান্ড ট্রাম্প জয়ী হয়ে প্যারিস জলবায়ু পরিবর্তন চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসেন ও ভারতকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মিথ্যে প্রমাণ হয় যায়। এবার QUAD চুক্তির ক্ষেত্রে যেন এর পুনরাবৃত্তি না হয়, সে ব্যাপারেই দুশ্চিন্তা কূটনীতিকদের।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, চিন ছাড়া দিল্লিকে রাশিয়া থেকে আসা এস ৪০০ মিসাইলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাতে বিশেষ ছাড়ের জন্য ও সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করতে ওয়াসিংটনকে রাজি করাতে হবে। যাতে ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক শত্রু থেকে আক্রমণের সম্ভাবনা কম হয়।
ভারত চিনের সাথে এক সুবিশাল সীমানা ভাগ করে। ভারতকে অবশ্যই স্পষ্ট করে দিতে হবে যে, দিল্লির লক্ষ্য চিনকে মোকাবিলা না করে, শান্তিপূর্ণভাবে ভারত সাগরে নিজের অস্তিত্ব কায়েম রাখা।