কলকাতা ব্যুরো: উত্তর প্রদেশ বিধানসভা ভোটের এক বছর আগে সেখানকার হেভিওয়েট মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিনে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের প্রকাশ্যে জন্মদিনের শুভেচ্ছা না আসায় জল্পনা তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা – প্রকাশ্যে জন্মদিনের শুভেচ্ছা না জানানোয় যোগী আদিত্যনাথের কুর্সি কতটা সুরক্ষিত আগামী বিধানসভার জন্য, তা নিয়েই জল্পনা তৈরি হয়েছে। যদিও রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রকাশ্যেই যোগীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ৫ মে ছিল যোগীর জন্মদিন। দলের যে কোন নেতা-নেত্রীর এমনকি বিরোধী দলের কোন নেতা-নেত্রীরকে সৌজন্য বিনিময় করতে মোদী – শাহ দের টুইট শুভেচ্ছা এখন সবাই জানে।কিন্তু বিজেপির শীর্ষ তিন কর্তা জনসমক্ষে সামান্য শুভেচ্ছা টুকু না জানানোর পিছনে যোগীর ক্রেজ কমছে কিনা, সে প্রশ্ন বড় হয়ে উঠেছে। একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, যোগির উপরে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের ভরসা কমেছে কিনা, বা তার ওপর অসন্তোষ বেড়েছে কিনা। যদিও এ ব্যাপারে কোনোদিক থেকেই সন্তোষজনক কোন বক্তব্যই পাওয়া যায়নি। ফলে জল্পনা জিইয়ে থাকবেই।
আগামী বছর ছয় রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তারমধ্যে উত্তর প্রদেশ, গুজরাট, গোয়া, মনিপুর, হিমাচল প্রদেশ ও পাঞ্জাব রয়েছে। এরমধ্যে প্রথম পাঁচটি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। পাঞ্জাব কংগ্রেসের দখলে। আর গত বছর থেকে কৃষক আন্দোলনের জেরে পাঞ্জাব এখনো তেতে রয়েছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এই অবস্থায় বহু প্রচেষ্টাতেও পশ্চিমবাংলায় যেমন ক্ষমতা দখল করতে পারেনি মোদি ব্রিগেড, একইভাবে আগামী বছর পাঞ্জাবে তাদের ফুল কতটা ফোটাতে পারবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এই অবস্থায় বিজেপির অন্যতম ক্ষমতা দেখানোর প্রতীক উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতা দখলে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মোদির।কিন্তু গত কয়েক বছরে একের পরে এক উত্তর প্রদেশ নিয়ে নানা অভিযোগে বিজেপির সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বদনাম বাড়িয়েছে। আর সে ক্ষেত্রে যোগী আদিত্যনাথ এর ভূমিকাও প্রবলভাবে সমালোচিত। এই অবস্থায় উত্তরপ্রদেশে সরকারে থাকার জন্য বিজেপির সর্বভারতীয় নেতৃত্বকে এখন থেকেই মাঠে নামতে হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতৃত্ব রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে।কিন্তু জন্মদিনে প্রকাশ্যে শুভেচ্ছা না জানিয়ে এখন থেকেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনের বার্তা শীর্ষ নেতৃত্ব প্রকাশ্যে বহন করছে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে।