এক নজরে

#HaridevpurMurder: বাথরুম থেকে উদ্ধার ব্যক্তির পচা, থেঁতলে যাওয়া দেহ

By admin

March 09, 2022

কলকাতা ব্যুরো: বাড়ির বাথরুম থেকে এক ব্যক্তির থেঁতলে যাওয়া দেহ উদ্ধারকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো হরিদেবপুরে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলেই মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম বাপ্পা ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার রাতে বেসরকারি চা সংস্থার কর্মী ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয় তাঁর নিজের দোতলা বাড়ির বাথরুম থেকেই। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই বাড়িতে একাই থাকতেন তিনি। গত তিনদিন ধরে তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করতে পারছিল না পরিবার। বুধবার সকালে পাড়া-প্রতিবেশীর থেকে খবর পেয়ে ৪৩ বছর বয়সি বাপ্পা ভট্টাচার্যর বাড়িতে আসে তাঁর মেয়ে। তিনিই দেখতে পান, বাথরুমে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তাঁর বাবা। দেহে সামান্য পচনও ধরেছে তাঁর। সঙ্গেসঙ্গে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। মৃতদেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে।

মৃতের মেয়ে জানান, দোতলার ঘরে ঢুকে তিনি দেখেন বিছানাপত্র থেকে শুরু করে ঘরের আসবাবপত্র লন্ডভন্ড অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ঘরের মেঝেতে অসংখ্য রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে। এমনকী রক্তের দাগ রয়েছে ঘরের অন্যত্রও। ওই ঘরের সঙ্গে অ্যাটাচ বাথরুমের ভিতরে কোমডের পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায় বাপ্পা ভট্টাচার্যের রক্তাক্ত মৃতদেহ। দেহে, মাথায় আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মাথা থেঁতলে খুন করা হয়েছে তাঁকে।
মৃতের মেয়ের অভিযোগ, তাঁর বিয়ে হয়ে গিয়েছে। মাঝেমধ্যে বাপের বাড়ি আসেন। তবে বাড়িতে তাঁর বাবার অফিসের দু’ জন বন্ধু আসার কথা ছিল। তাই ওই দুই বন্ধুর উপরই প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছে তাঁর পরিবার। ইতিমধ্যে পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করছে হরিদেবপুর থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। হোমিসাইড শাখাও পৌঁছেছে মৃতের বাড়িতে। কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে এমনটা করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।