কলকাতা ব্যুরো: অনেক প্রত্যাশিত বিষয়ের কোনও উত্তর নেই কেন্দ্রীয় বাজেটে। মধ্যবিত্তের জন্য কোনও সুখবরই শোনাতে পারেননি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। নেই নতুন কোনও প্রকল্পের কথাও। সবমিলিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেট শেষ দেড় ঘণ্টাতেই।
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটাই নির্মলার সংক্ষিপ্ততম বাজেট ভাষণ। কাঁটায় কাঁটায় ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিটেই বাজেট ভাষণে ইতি টানলেন তিনি। আর দীর্ঘায়িত হল আমজনতার অপ্রাপ্তির তালিকা। গত চারটি অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ দীর্ঘতম বাজেট ভাষণে রীতিমতো রেকর্ড করেছেন। কখনও পৌনে তিন ঘণ্টা, কখনও সোয়া ২ ঘণ্টা – সময়ের খাতায় এমনই তাঁর রেকর্ড। উনিশের প্রথমবার অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার নিজের দীর্ঘতম বাজেট ভাষণ দিয়েছিলেন নির্মলা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের বাজেট ভাষণ চলে ২ ঘণ্টা ৪২ মিনিট ধরে।
পরেরবার, ২০২০-২১ অর্থবর্ষের বাজেট পড়তে সময় কিছুটা কম নেন অর্থমন্ত্রী – ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট। তার পরবর্তী অর্থবর্ষে ২ ঘণ্টারও নিচে নামিয়ে আনেন বাজেট পড়ার সময়। ২০২১-২২এ কেন্দ্রীয় বাজেট শেষ হয়ে গিয়েছিল ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিটে। আর এবার তার চেয়েও কম – ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। তার মধ্যেও বার দু’য়েক কয়েক মিনিটের জন্য জল খাওয়ার বিরতি নিলেন। গত চার বছরের মধ্যে এটাই সংক্ষিপ্ততম।
ঘড়ির কাঁটা ধরে কাজ করাই তাঁর বরাবরের অভ্যাস। অত্যন্ত নিয়মানুবর্তী দেশের অর্থমন্ত্রী বিশেষ বিশেষ দিনে নিয়মশৃঙ্খলায় আরও বেশি নজর দিয়ে থাকেন। বাজেটের দিন তো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন তাঁর কাছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় তিনি লাল ফাইলের ভিতরে ট্যাব নিয়ে নর্থ ব্লকের, দপ্তরে প্রবেশ করেন। করোনা কালে পেপারবিহীন বাজেট পেশের জন্য গত বছর থেকে ট্যাবই ব্যবহার করছেন অর্থমন্ত্রী। লাল ফাইলটি অবশ্যই প্রতীকী। সেখানে অর্থমন্ত্রকের অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার পর চলে যান রাষ্ট্রপতি ভবনে। সেখানে বাজেটের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন নিয়ে ফেরেন নর্থ ব্লকে। তার বাইরে ফটো সেশনে অংশ নেন নির্মলা।
এরপর সংসদে গিয়ে কাঁটায় কাঁটায় ১১টায় শুরু করেন বাজেট পড়া। মহাভারতের ‘শান্তি পর্বে’র একটি শ্লোকের কথা উল্লেখ করেন তিনি। তবে পুরোটা বলেননি নির্মলা সীতারমণ। সরাসরি ঢুকে যান বাজেটে। মাঝে ২ বার জল খেলেন, ঢোঁক গিললেন।