কলকাতা ব্যুরো: শনিবার দুপুর পর্যন্ত নয়, তার আগেই আন্দামানে ঘনীভূত হতে পারে নিম্নচাপ রেখাটি। এখনো পর্যন্ত আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, যদি এটি ঠিকঠাকভাবে ঘনীভূত হয় সে ক্ষেত্রে গতবছর আম্পানের থেকেও বাড়াতে পারে যশের ধ্বংসাত্মক লীলা। তবে এখনো পর্যন্ত আবহাওয়াবিদদের বক্তব্য, নিম্নচাপ রেখাটি কতটা শক্তিশালী হচ্ছে শনিবার দুপুরের পরেই তা আরও স্পষ্ট হবে। এখনো পর্যন্ত যা ইঙ্গিত তাতে দীঘা এবং উড়িষ্যা উপকূলে প্রবল ঘূর্ণিঝডটি আছড়ে পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে ২৫ ও ২৬ মে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বেশি। একই সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে কলকাতাতেও। এর পাশাপাশি রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় যশের আশঙ্কায় প্রশাসনিক ক্ষেত্রে ঘনঘন রিভিউ বৈঠক শুরু হয়েছে। এদিন দুপুরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে অন্যান্য কয়েকটি রাজ্যের সঙ্গে চিঠি পাঠানো হয় নবান্নে। যেভাবে নতুন করে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত হচ্ছে সে ক্ষেত্রে ২৫ ও ২৬ মে এ রাজ্যের বেশকিছু জেলায় দুর্যোগে সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে করোনার নিয়ন্ত্রণে পরিচর্যা এবং চিকিৎসা কিভাবে চলবে তা নিয়ে সর্তকতা দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে।দুই জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে। কলকাতা পুরসভার তরফেও জল, বিদ্যুৎ, গার্ডেন বিভাগকে জরুরী ভিত্তিতে আগামী সপ্তাহে কর্মীদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষেত্রে দীঘা, মন্দারমনি, শংকরপুর, কুলতলী, পাথরপ্রতিমা, সাগর, নামখানা সহ আশপাশের ব্লগগুলির প্রশাসনকে প্রতি মুহূর্তে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সেখানকার জনগণকে ও মৎস্যজীবীদের সতর্ক করতে মাইকিং শুরু হয়েছে।