এক সময়ে ইউক্রেন(#Ukraine) ছিলো কিভান রাশিয়ার(#Russian) প্রাণ স্বরূপ। পূর্ব ও উত্তর ইউরোপের পূর্ব স্লাভাকিয়া, বাল্টিক এবং ফিনিক জনগনের একটি যুক্ত রাষ্ট্র, যার রাজধানী ছিলো কিয়েভে। আধুনিক ইউক্রেন, রাশিয়া এবং বেলারুশ সকলের ই কিভান রুসের সাথে সাংস্কৃতিক মিল রয়েছে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের (#VladimirPutin) মতে রাশিয়ার হাত ধরেই তৈরি আধুনিক ইউক্রেন। বিশেষ করে ইউক্রেন অংশ বলসেভিক, যা কার্যকর করা হয় ১৯১৭ সালের বিপ্লবের পর এবং লেলিন এবং তার সহযোগীরা রাশিয়ার সহযোগে বিভাজন করে। রাশিয়ার পর দ্বিতীয় বড় দেশ হিসাবে ইউরোপ মানচিত্রে স্থান পায় ইউক্রেন ( আয়তন ৬০৩, ৫৫০স্কয়ার কিমি)।
অধিকাংশ রাশিয়ান ভাষার লোকেরা পূর্বে বাস করতো ইউক্রেনে। যেখানে দীর্ঘ আট বছর ধরে স্বশস্ত্র বিদ্রোহকে উৎসাহ যোগায় রাশিয়া। এর ফলে দুটি স্বাধীন প্রজাতন্ত্র দেশের স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। যা যুদ্ধের একার ধারণ করে।
তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (#RussiaUkraineCrisis) আদপে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধর আভাস কি না তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে বিশ্বজুড়ে। তবে তার আগে বুঝতে হবে বিশ্ব যুদ্ধ বলতে কি বোঝায়। সাধারণ ভাষায় বিশ্ব যুদ্ধ বলতে এক বা একাধিক দেশ, সরকার বা কোনো সামরিক দল যুদ্ধে অংশ নেওয়া। যে যুদ্ধে ক্ষতি হবে সাধারণ মানুষের জীবন। কিন্তূ এ ক্ষেত্রে আপাতত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে রাশিয়া। রুশ সেনা অভিযানে সুরক্ষার জন্য সামরিক অভ্যুত্থান এ ইউক্রেন। যুদ্ধে নেই অন্য কোন দেশ। বিশ্ব যুদ্ধের অজুহাতে অপ্রত্যক্ষ সাহয্যে থাকলেও, সরাসরি সাহয্যে নেই আমেরিকার। নাটোর (#NATO) সদস্য না হওয়ায় এই লড়াই কেবলই পড়শী দুই দেশের বৈরিতার বহি প্রকাশ। সেক্ষেত্রে এই যুদ্ধকে বিশ্ব যুদ্ধ মানতে রাজি নন বিশ্ব রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা।