এক নজরে

সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন ইউ ইউ ললিত

By admin

August 04, 2022

কলকাতা ব্যুরো: ঐতিহাসিক তিন তালাক রায়দানকারী মামলার অন্যতম কারিগর ইউ ইউ ললিত দেশের প্রধান বিচারপতির আসনে বসতে পারেন। আগামী ২৭ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের ৪৯-তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগ হতে চলেছে। সেই তালিকায় রয়েছে বিচারপতি ললিতের নামও। সুপ্রিম কোর্টে এখন যে বিচারপতিরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে সবথেকে প্রবীণ হলেন ললিত।

সম্প্রতি বিচারপতি ললিতের ঐতিহাসিক রায়ের মধ্যে ছিল তিন তালাক নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। প্রধান বিচারপতির পদ অলঙ্কৃত করলে তিনিই দেশের দ্বিতীয় প্রধান বিচারপতি, যিনি বার থেকে একেবারে সর্বোচ্চ আদালতের বেঞ্চে উন্নিত হবেন।

১৯৫৭ সালের ৯ নভেম্বর জন্ম ইউ ইউ ললিতের। আইনজীবী হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৮৩ সালে, বম্বে হাইকোর্টে। ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত সেখানে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করার পর তিনি দিল্লি চলে আসেন। ২০০৪-এর এপ্রিলে তিনি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত হন। ২জি স্পেকট্রাম মামলায় তাঁকে সিবিআইয়ের বিশেষ কৌঁসুলি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল।তাঁর আগে ১৯৭১ সালে দেশের ত্রয়োদশ প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এস এম সিক্রি। তিনিও একেবারে আইনজীবী থেকে প্রধান বিচারপতির আসনে বসেছিলেন।

২৭ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ হবে, তার আগের দিনই বর্তমান প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণার কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।

২০১৪ সালের ১৩ অগাস্ট দুঁদে কৌঁসুলি ইউ ইউ ললিত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন। তারপর থেকে বেশ কিছু বিতর্কিত ও বহু চর্চিত রায় তিনি দিয়েছেন। এর মধ্যে এদেশে ইতিহাস সৃষ্টিকারী রায় ছিল তাৎক্ষণিক তিন তালাকের রায়। পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে ৩-২ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় তিন তালাককে অবৈধ ও অসাংবিধানিক হিসেবে রায় দেওয়া হয়।

এছাড়াও কেরালার ত্রিবাঙ্কুরের রাজপরিবারের ধনসম্পদশালী পদ্মনাভস্বামী মন্দিরের অধিকার নিয়ে তাঁর রায়দানও ছিল চমকপ্রদ। রাজপরিবারের দখল সংক্রান্ত মামলায় তাঁর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রাজ্য সরকারকে একটি ট্রাস্ট গঠনের নির্দেশ দেয়। যে ট্রাস্ট মন্দির পরিচালনা করবে এবং ঐশ্বর্যসহ সম্পত্তির দেখভাল করবে।