কলকাতা ব্যুরো: রাতের শহরে ফের শ্লীলতাহানির অভিযোগ। আর অভিযোগের তির খোদ শহরের রক্ষাকর্তাদের দিকেই। সাহায্য করার নামে তরুণীকে বাইকে তুলে অভব্যতার অভিযোগ উঠেছে দুই ‘পুলিশ কর্মী’র বিরুদ্ধে। তরুণীর অভিযোগ, পুলিশের উর্দি পরে বাইক নিয়ে এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে কসবা থানার পুলিশ। তাদের নাম অভিষেক মালাকার এবং সন্দীপ কুমার পাল। অভিষেক মালাকার সিভিক ভলান্টিয়ার এবং সন্দীপ কুমার পাল এএসআই। দু’জনেই বিধাননগর সিটি পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের কর্মী বলে জানা গিয়েছে।
শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাইপাস লাগোয়া এলাকায়। যদিও ঘটনার সূত্রপাত সল্টলেক করুনাময়ী বাস স্ট্যান্ড। তবে অভিযোগ সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট ৷ অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার অভিষেক মালাকার এবং এএসআই সন্দীপ কুমার পালক সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ এর পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে দুই অভিযুক্তকে।
লালবাজার সূত্রের খবর, ওই তরুণী আসানসোল থেকে ফিরছিলেন। রাতে করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ডের কাছে তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই সময়ে আচমকাই একটি বাইকে চেপে দুই সাদা পোশাকধারী আসেন। নিজেদের পুলিশকর্মী বলে পরিচয় দেন। এরপর পুলিশের গাড়িতেই ওই মহিলাকে বাড়ি ছেড়ে দেওয়া হবে, এমন প্রতিশ্রুতি মেলে ওই দুই ব্যক্তির থেকে। পুলিশ কর্মীর থেকে আশ্বাস পাচ্ছেন মনে করেই নিশ্চিত হয়ে বাইকে উঠে পড়েন ওই তরুণী।
তবে ওই তরুণীর অভিযোগ, সল্টলেক করুণাময়ী থেকে সোজা বাইপাস ধরে বাইকটি। এরপরেই কসবা থানা এলাকার ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাসের উপর একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে অভদ্র আচরণ করতে থাকে ওই দুই উর্দিধারী যুবক। তরুণী পাল্টা চিৎকার-চেঁচামেচি করলে তাঁকে ভয় দেখাতে শুরু করে অভিযুক্তরা। ঠিক সেই সময়ই সেখান দিয়ে যাচ্ছিল কলকাতা পুলিশের একটি মোবাইল ভ্যান। তাঁরাই ঘটনাস্থল থেকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে এবং সাদা পোশাকের দুই পুলিশকর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের গ্রেফতার করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী এই ঘটনার সূত্রপাত যেহেতু বিধাননগর উত্তর থানা এলাকায়, ফলে সেখানেই গোটা অভিযোগপত্রটি পাঠিয়ে দিচ্ছে কলকাতা পুলিশ।