এক নজরে

৫ মাস চিনের বন্দরে আটকে ২৩ ভারতীয়, চরম অনিশ্চিত ভবিষ্যত

By admin

November 08, 2020

কলকাতা ব্যুরো: লকডাউন এর মধ্যেই চিন ও ভারতের মধ্যে সীমান্ত সংঘাত নিয়ে গোটা বিশ্ব যখন আলোচনায় মশগুল, তখনই ভারতীয় একটি বাণিজ্যিক জাহাজ আটকে গেল চিনের বন্দরে। গত পাঁচ মাস ধরে কয়লা বোঝাই সেই ভারতীয় জাহাজ আটকে রয়েছে চিনের জিং টং বন্দরে। সেইসঙ্গে সেখানে জাহাজের মধ্যে আটকে রয়েছেন ২৩ জন ভারতীয় কর্মী। তাদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ওষুধ পাচ্ছেন না। নেই কোনো নিরাপত্তাও।অথচ অস্ট্রেলিয়া থেকে কয়লা বোঝাই জাহাজ নিয়ে তারা জুন মাসেই পৌঁছে গিয়েছিলেন চিনের বন্দরে। ১৩ জুন থেকে এখনো পর্যন্ত তারা একই ভাবে আটকে আছেন সেখানে। প্রধানমন্ত্রী থেকে বিদেশমন্ত্রী– সর্বোচ্চস্তরে যোগাযোগ করেছেন তারা কিন্তু এখনো পর্যন্ত তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে কোন দিক থেকে কোন সবুজ সংকেত পাওয়া যায়নি।এ বছর জানুয়ারি মাসে জাগো আনন্দ নামে মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি সংস্থার জাহাজ অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রায় এক লক্ষ ৭০ হাজার টন কয়লা নিয়ে পৌঁছেয় ওই বন্দরে। যদিও গত বছর মে মাসে ওই জাহাজটিকে নিয়ে ২৩ জন কর্মী মুম্বাই থেকে রওনা দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। মাঝে কেটে গিয়েছে দেড় বছর। আর তার মধ্যে শেষ পাঁচ মাস তারা দাঁড়িয়ে রয়েছেন চিনের বন্দরে। তারা যে সংস্থায় চাকরি করেন তাদের এবং কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ওই পর্যন্তই।এখন দিশেহারা ওই কর্মীরা। সংবাদসংস্থাকে তারা জানিয়েছেন, দের বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে দেখা নেই। বেশ কিছু কর্মীর ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিস বেড়েছে। কেউ কেউ শ্বাসকষ্ট ভুগছেন। এই অবস্থায় তাদের প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র পাচ্ছেন না। ফলে একটা নিদারুণ নিরাপত্তার হীনতার মধ্যে তারা দিন কাটাচ্ছেন। তাদের অভিযোগ, যে কয়লা নিয়ে গিয়েছেন তারা, তার কোনমতেই খালাস করতে দিচ্ছে না চিন সরকার। ফলে বাধ্য হয়ে তাদের সেখানে আটকে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু কেন তাদের কয়লা নামাতে দেওয়া হচ্ছে না, তারও স্পষ্ট কোনো উত্তর নেই তাদের কাছে।একদিকে চিনের সীমান্তে অরুণাচল থেকে লাদাখ পর্যন্ত সেনা বাড়ানোর কাজ চলছে। চিনের সঙ্গে বৈরিতায় সেখানকার পণ্য বর্জন এখনো জারি রয়েছে ভারতে। অথচ এ দেশের ২৩ জন নাগরিক গত পাঁচ মাস ধরে চিনের মাটিতে আটকে থাকলেও, তাদের কেন ফেরানোর ব্যবস্থা এতদিনেও করা হয়নি, সে ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে স্পষ্ট কোনো উত্তর নেই। ফলে, এদের পরিবার প্রিয়জনকে এইভাবে দেড় বছর ধরে মুখ বুজে কাটাতে হচ্ছে দিন।