কলকাতা ব্যুরো: রাজ্যে ট্রাক মালিকদের ডাকা টানা তিনদিনের ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে সমাধানের কোনো সূত্র মিলল না। অথচ ধর্মঘটের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন সীমানায় কয়েকশো ট্রাক এখন মালপত্র নিয়ে অপেক্ষা করছে জেলাগুলিতে ঢোকার জন্য। মূলত মাছ, ডিম, ওষুধ, পেঁয়াজ, আলু নিয়ে এরাজ্যে ঢোকার জন্য অপেক্ষাই থাকা গাড়ি গুলি তে তিন দিনে প্রচুর মাল নষ্ট হবে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
ফলে এমনিতেই দুর্গাপুজোর আগে বাজারে চড়া। এরপর এমন পরিস্থিতি তে সংকট আরো তীব্র হবে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
কোলে মার্কেট, হাওড়া মার্কেট, গড়িয়াহাট সহ বিভিন্ন বাজারে এদিন সবজি, মাছ, ডিম নিয়ে ট্রাক ঢুকতে পারেনি। রাজ্য ট্রাক সংগঠনের ধর্মঘটে এ রাজ্যের প্রায় সাড়ে চার লক্ষ ট্রাক এবং মিনি ট্রাক সব বন্ধ হয়ে বসে রয়েছে। শহর এবং বিভিন্ন জেলার রাস্তায় রাস্তায় এখন ট্রাক দাড়িয়ে রয়েছে।
সংগঠনের নেতাদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে অন্যান্য সব রাজ্যে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি মাল ট্রাকে তোলা যাচ্ছে। একমাত্র এ রাজ্যে সেটাকে ওভারলোডিং হিসেবে ধরা হচ্ছে। সংগঠনের অভিযোগ, ওভারলোডিং হিসেবে দেখা নোয় মোটা টাকা মুনাফা করছে পুলিশ এবং রাজনৈতিক দল। অথচ এখন কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী, সারাদেশে এটাই আইনে পরিণত হয়েছে। সেই কেন্দ্রের নির্দেশ এখানেও কার্যকর করার দাবির পাশাপাশি থেকে তোলাবাজি বন্ধ করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের কাছে দরবার করছিল ট্রাক মালিকদের সংগঠন। এমনকি বহু আগেই তিনদিনের ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সংগঠনের নেতাদের বক্তব্য, গত রবিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব ফোন করে ট্রাক মালিকদের ধর্মঘট তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু মালিকরা জানিয়ে দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে দাবি নিয়ে সিদ্ধান্ত না মানা পর্যন্ত এই ধর্মঘট তোলার প্রশ্নই নেই। এমনকি দাবি মানা না হলে দূর্গা পূজার পরে তারা এই ধর্মঘট এবং অবরোধ টানা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাক মালিকরা।
রাজ্যে ট্রাক ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনে বাজারে এলোনা মাছ, ডিম
Previous Articleহঠাৎ সরানো হলো ইডির কর্তাকে
Next Article হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে এবার শোকজ অর্ণব গোস্বামীকে