কলকাতা ব্যুরো: একই থানায় একইভাবে দু-দুবার হামলা। লক্ষ্য তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবার সকালের মতো এদিন সন্ধেতেও আগরতলার পূর্বের মহিলা থানায় হামলা চালায় মাস্ক ও হেলমেট পরা দুষ্কৃতীরা। প্রায় একই সময়ে এক কিমি দূরত্বে থাকা তৃণমূলের ত্রিপুরার আহ্বায়ক সুবল ভৌমিকের বাড়িতেও হামলা চলে। দুটি ক্ষেত্রেই তৃণমূলের তরফে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে।
শনিবার তৃণমূলের সভা থেকে ফেরার সময় রাস্তা ধারে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভা চলায় সময় সায়নী ঘোষ খেলা হবে বলে স্লোগান দেন। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ তাঁর গাড়ির ওপর হামলা করা হয়। পরে রাতেই বিজেপির তরফে এনিয়ে থানায় সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়েরের পরে সকালেই তাঁকে তলব করে আগরতলার পূর্বের মহিলা থানা। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ চলার সময়ে একদল লোক হেলমট পরে হামলা চালায়। তৃণমূলে কর্মী সমর্থক ছাড়াও বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়।
পরে এদিন সন্ধেয় কাজ শেষে এসডিপিও বেরিয়ে গেলে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানার বাইরে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় সকালের কায়দাতেই ফের হামলার ঘটনা ঘটে। সেই সময় কুণাল ঘোষ-সহ তৃণমূলের নেতা এবং সাংবাদিকরা থানায় আশ্রয় নেন। কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেছেন, সেই সময় থানার ওপরে যথেচ্ছ ইট-বৃষ্টি করে দুষ্কৃতীরা। পরে পার্শ্ববর্তী দুই থানার পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয় প্রশাসন।প্রায় একই সময়ে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানার থেকে প্রায় এক কিমি দূরত্বের মধ্যে থাকা ত্রিপুরা তৃণমূলের আহ্বায়ক সুবল ভৌমিকের বাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। পুর নির্বাচনের কারণে সুবল ভৌমিকের বাড়িতে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস করা হয়েছে। দুষ্কৃতীরা সেখানে হামলা চালিয়ে ক্যাম্প অফিস ভাঙচুর করে। এই ঘটনাতেও একাধিক ব্যক্তি আহত হন।