কলকাতা ব্যুরো: ত্রিপুরা পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে সুপ্রিম কোর্ট গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দেশের শীর্ষ আদালত এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশ না দেওয়ায় পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রবিবার সকাল থেকে ত্রিপুরা পুরভোটের গণনা শুরু হয়। গণনাকেন্দ্রে রয়েছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা। গণনাকেন্দ্রের বাইরে ত্রিপুরা স্টেট রাইফেলস ও রাজ্য পুলিশ রয়েছে। কাউন্টিং হলের মধ্যে সিআরপিএফ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার আগরতলা কর্পোরেশন, ১৩টি পুরসভা ও ৬টি নগর পঞ্চায়েতের ভোটগ্রহণ হয়। তার মধ্যে ৭টিতে ইতিমধ্যেই বিনা লড়াইয়ে জিতে গিয়েছে বিজেপি। মোট ৩৩৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১১২টিতে পকেটে পুরেছে গেরুয়া শিবির। বাকি ২২২টি ওয়ার্ডের গণনা চলছে আজ। মোহনপুর, উদয়পুর, রানিরবাজার, শান্তিরবাজার, বিশালগড় পুরসভা এবং কমলপুর ও জিরানিয়া নগর পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করেছে বিজেপি।
সকাল ৮টা থেকে গণনা শুরু হয়েছে। কোভিড বিধি মেনে গণনা চলছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগরতলার ৫১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৭টিতে জয়ী হয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। সেগুলি হল- ২, ১৮, ১৯, ২০, ৩৫, ৩৬, ৩৭। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থী অভিষেক দত্ত ১,৮৮০টি ভোট পেয়েছেন। তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ১,২২৪ ভোট। ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী বিজেপি প্রার্থী তুষার ভট্টাচার্য ৩,৪১৫ টি ভোট পেয়েছেন। তৃণমূল প্রার্থী জাহানারা বেগম ৬০০-র বেশি ভোট পেয়েছেন।

আগরতলা পুরসভায় আসন না পেলেও একাধিক ওয়ার্ডে কঠিন লড়াই দিচ্ছে ঘাসফুল শিবির। মোট প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে সেখানকার ওয়ার্ড নম্বর ২০, ৫, ১৯ এবং ২১-এ দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তৃণমূল। তবে ৫১ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ইতিমধ্যে ১৯টিতে জয় পেয়েছে গেরুয়া শিবির।
সব মিলিয়ে আজ মোট ৩৩৪টি ওয়ার্ডের ফলাফল প্রকাশিত হবে। প্রতিটা আসনেই প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। যার মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১১২টি আসনে ইতিমধ্যেই জয় পেয়েছে তারা। বাকি ২২২টি আসনে মোট ৭৮৫ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে এদিন। এর মধ্যে ১টি নগর পঞ্চায়েতে ইতিমধ্যেই বিজয় ঝাণ্ডা উড়িয়েছেন পদ্মপ্রার্থী।

বৃহস্পতিবার পুরভোটের দিন আগরতলার একাধিক ওয়ার্ডে আক্রান্ত হন বিরোধীরা। ছাপ্পা ভোট, বুথ দখল, রিগিং, ভোটারদের ভয় দেখানোব থেকে শুরু করে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলে তৃণমূল, সিপিএম। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ভোট চলাকালীন নজিরবিহীন নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ত্রিপুরায় অতিরিক্ত দু’কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে বলেছিল শীর্ষ আদালত। তবে সেই বাহিনী মোতায়েন করার পরেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি, অভিযোগ বিরোধীদের।