কলকাতা ব্যুরো: নতুন করে আর বরফ না পড়লেও, গত দুদিন সিকিমের ছাঙ্গু ও নাথুলা পাসে পড়া বরফের এখনো বিপর্যস্ত এলাকা। সেখানে আটকে থাকা প্রায় আড়াইশো গাড়ির পর্যটকদের সেনাবাহিনী নামিয়ে নিয়ে যায় তাদের সতেরো মাইলের বেসক্যাম্পে। সেখানেই খাওয়া-দাওয়া এবং তাদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করে সেনা। কিছু গাড়ি রবিবার সেখান থেকে বের হতে সক্ষম হয় পর্যটকদের নিয়ে। কিন্তু শেষ খবর অনুযায়ী, ১১০ টি গাড়ি এবং তার পর্যটকরা এখনো আটকে আছেন সেখানে।

সেনা সূত্রে খবর, গোটা রাস্তায় কিছু এলাকায় এখনও বরফ জমাট বেঁধে রয়েছে। ফলে গাড়ি গুলি সেখান থেকে বার করতে গেলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। তাই ওই গাড়ি ও তার পর্যটকরা এখনো আটকে রয়েছেন। আর সে কারণেই বড়দিনের ছুটিতে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের রবিবার আর ছাঙ্গু বা বাবা মন্দিরের দিকে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন।

তবে রবিবার দার্জিলিং এর কিছু এলাকায় এবং কালিম্পংয়ে হালকা বরফ সকালের দিকে পড়লেও, তা বেলার দিকে থেমে যায়। ফলে পর্যটকরা বরফ পড়ার আনন্দ উপভোগ করলেও, তাতে বেড়ানোর মজা আটকে থাকেনি। এই অবস্থায় প্রবল ঠান্ডাতেও দার্জিলিং এবং ডুয়ার্সে পর্যটকদের জন্য ঘর ফাঁকা পাওয়া দুস্কর হয়ে উঠেছে।

জানা গিয়েছে, দার্জিলিঙে শহরের প্রাণকেন্দ্রে হোটেলে ঘর পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে পর্যটকদের শহর থেকে বাইরে হোম স্টে খুঁজে সেখানেই থাকতে হচ্ছে। কিন্তু প্রাকৃতিক পরিবেশ এতটাই মনোরম যে সেই কষ্ট তারা সহ্য করে নিয়েছেন অনায়াসে।

এমনকি এদিনও টাইগার হিলে বরফ পড়তে পারে এই আশায় সকাল থেকেই গাড়ি নিয়ে পর্যটকরা ছুটেছিলেন টাইগার হিলে। যদিও এদিন আর তাদের আশা পূরণ হয়নি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version