কলকাতা ব্যুরো: মহামারী করোনার গ্রাস ! মানুষ ভুলে গেছিল সাধারণ জীবন যাত্রা, আজ প্রায় সাড়ে ৭ মাস পর রাজ্যে চালু হল লোকাল ট্রেন পরিষেবা। খুশির আমেজ মানুষের মধ্যে। রোজের কর্মে নতুন ছন্দে জনজীবন, কিন্তু চোখে অজানা ভীতি। তবুও কাজ ও কাজের সন্ধানে মানুষের ভিড় বাড়বে এটি পরিষ্কার।

এদিন ভোর পাঁচটা থেকে শিয়ালদা, হাওড়ার বিভিন্ন শাখায় লোকাল চলাচল শুরু হয়। মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুব একটা গাফিলতি দেখা না গেলেও, সোশ্যাল ডিসটেন্স কিন্তু প্রায় ছিল না বললেই চলে। সকাল থেকে যদি বা কিছুটা দূরত্ব রেখে দাঁড়ানো বা বসার উৎসাহ দেখা গিয়েছিল, বেলা যত গড়িয়েছে ততই আগের সেই চেনা ছবি দেখা গিয়েছে ট্রেন গুলিতে। রানাঘাট লোকাল, লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল, শিয়ালদামুখী ট্রেন গুলিতে বাদুড়ঝোলা ভিড় ছিল না ঠিকই, কিন্তু অর্ধেক লোক নিয়ে ট্রেন চালানোর খাতায় কলমে এস ও পি বাস্তবে ছিল না। যাত্রীদের বক্তব্য, প্রতিদিন স্বাভাবিক সময়ে ট্রেনগুলোতে কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করে কলকাতায় আসেন রুটি-রুজির জন্য। আর এখন ট্রেনের সংখ্যা কম। আবার সেখানে অর্ধেক লোক উঠতে পারবে। ফলে স্টেশনে এলেও কেউ ট্রেন আদপেই ধরতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হচ্ছে। তাই পুলিশের চোখ এড়িয়ে যে যার মতোই চেষ্টা করছেন উঠে পড়ার ট্রেনে।

রেল সূত্রে খবর, আজ থেকে প্রতিদিন দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব রেল মিলিয়ে রাজ্যে ৬৯৬টি লোকাল চলবে। যার মধ্যে শিয়ালদা ডিভিশনে চলবে ৪১৩টি ট্রেন। হাওড়া ডিভিশনে ২০২টি ও খড়গপুর ডিভিশনে ৮১টি লোকাল ট্রেন চলবে।

প্রতিদিন ভোর ৫টা নাগাদ শুরু হবে ট্রেন চলাচল। দিনের শেষ ট্রেন চলবে রাত ১১টার আশেপাশে। সকাল থেকে এখনও অবধি খুব একটা ভিড় চোখে পড়েনি। যাত্রীরা এখনও পর্যন্ত কোভিড প্রোটোকল মেনেই ট্রেনে চড়েছেন। মাস্ক পরেছেন। রয়েছেন আরপিএফ, রাজ্য পুলিশের কর্মীরা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version