কলকাতা ব্যুরো: কলকাতা পুরভোটের আগে “দশ দিগন্ত” শিরোনামে ইস্তেহার প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে। এবার বিধাননগর, চন্দননগর এবং শিলিগুড়ির নির্বাচনী ইস্তেহারেও একই কৌশল চোখে পড়লো। বিধাননগরের চিরকালীন সমস্যা জল নিকাশি ব্যবস্থা এবং পানীয় জল সরবরাহের উপর জোর দেওয়া হয়েছে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে। তবে শুক্রবার বিধাননগরের ইস্তেহার প্রকাশের মঞ্চে সব্যসাচী দত্তর অনুপস্থিতি কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে ফেলে দিলো ঘাসফুল শিবিরকে।
আগামী ২২ জানুয়ারি চার পুরনিগমে ভোট। আর আগে শুক্রবার ইস্তেহার প্রকাশ করলো তৃণমূল। কিন্তু দলকে কিছু না জানিয়েই বিধাননগর ইস্তেহার প্রকাশে আসেননি একুশের নির্বাচনের পর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে পুনরায় নাম লেখানো নেতা তথা তৃণমূল প্রার্থী সব্যসাচী দত্ত। তবে উপস্থিত ছিলেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু, বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা সৌগত রায়-সহ অন্যান্যরা। সৌগত রায় সাংবাদিকদের প্রস্নের উত্তরে বলেন, হয়তো প্রচারের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণেই হাজির হতে পারেননি বিধাননগর পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী।
এরপর এদিন রীতিমতো হঁশিয়ারির সুরেই সৌগত রায়কে বলতে শোনা যায়, জোর করে ভোট করার চেষ্টা হলে শৃঙ্খলাভঙ্গের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ ২০১৫ সালের পুরভোটে বিস্তর উত্তেজনার প্রসঙ্গ উঠে এলে তিনি বলেন, অতীতের কথা ছেড়ে দিন। যা হয়েছে আর হবে না। বিধাননগরে যা কাজ হয়েছে, জবরদস্তির দরকার নেই।
পাশাপাশি সুজিত বসুও বলেন, ২০১৫-এর পরও তো আরও নির্বাচন হয়েছে এবং তা শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছে। এবারও তেমনই হবে। তবে বিধাননগরে নিকাশি ব্যবস্থা যে একটা বড় সমস্যা, তাও স্বীকার করে নেন সুজিত বসু। আর সেই কারণেই এবার ইস্তেহারে নিকাশি ও পানীয় জল সরবরাহে জোর দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও বিধাননগরের বর্ধিত এলাকা রাজারহাট-গোপালপুরের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, তাঁরা বিধাননগরের মতো সমস্ত সুবিধা ও পরিষেবা পান না। সেই অভিযোগও এবার দূর করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তৃণমূল।
অন্যদিকে চন্দননগর পুরনিগমের নির্বাচনী ইস্তেহারেও নিকাশি ও নর্দমা ব্যবস্থার মানোন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সড়ক পরিকাঠামো ব্যবস্থার উন্নতি, জল সরবরাহ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি, প্রশাসনিক জটিলতার সরলীকরণ-সহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে শাসক দলের তরফে।
শিলিগুড়িতে জল সরবরাহের পাশাপাশি উন্নত সড়ক পরিকাঠামোর প্রতিশ্রুতি রয়েছে তৃণমূলের ইস্তেহারে।