কলকাতা ব্যুরো: প্রত্যাশিতভাবেই ফের তৃণমূলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলনেত্রীর বিরুদ্ধে কেউই মনোনয়ন জমা দেননি। মোট বৈধ ৪৮টি প্রপোজার সেকেন্ডারের নমিনেশন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে জমা পড়েছে। অন্য কেউ মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারপার্সন পদে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং অফিসার পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আপাতত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, সুব্রত বক্সী সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি ( নতুন দায়িত্ব) এই দুই পদ এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, যশবন্ত সিনহাকে নিয়ে ছোট একটা কমিটি কাজ করবে।

নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সাংগঠনিক নির্বাচনের আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধিদের পাশাপাশি অন্যান্য রাজ্য থেকে প্রায় দেড় হাজার প্রতিনিধি এদিন তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনে অংশ নেন। যশবন্ত সিনহা, লোকেশ ত্রিপাঠী, রাজেশ ত্রিপাঠী, ত্রিপুরার সুবল ভৌমিক, অশোক তানোয়ারদের মতো ভিনরাজ্যের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন এদিনের বৈঠকে।

ফের দলের সুপ্রিমোর পদ গ্রহণ করেই আগামী দিনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাংলার দুর্গ অটুট রেখেই সর্বভারতীয় স্তরে বিজেপিকে হারানোর লক্ষ্যে এগোবে তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের সভানেত্রী পদে নির্বাচিত হয়ে মমতা বলেন, তৃণমূল তৈরি হয়েছিল ৯৮ সালের ১ জানুয়ারি। অনেক বাধা রোদ অতিক্রম করে আজ এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে।প্রথমে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস হয়েছিল। পরে অনেক জায়গায় ইউনিট খুলছিল। তাই অল ইন্ডিয়া করে দিলাম। কোনও না কোনও জায়গা থেকে একটা দল তৈরি হয়।উত্তরপ্রদেশ থেকে কংগ্রেস তৈরি হয়েছিল। গুজরাট থেকে বিজেপি। আমাদের অরিজিনাল জায়গা বাংলা। আমরা মিট করব খুব শিগগির। আপনারা বাংলার দলটা করব। আপনারা বলুন, বাংলার দলটাকে বুক দিয়ে আগলে রাখব। আপনি দেশ থেকে বিজেপি কে হঠান।
এদিন দলনেত্রী আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিজেপিই তাঁর পয়লা নম্বর শত্রু। তবে, বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যদি কংগ্রেস একমঞ্চে না আসে তাহলে একলাই চলবে তৃণমূল। মমতার বক্তব্য, একবার যদি হার, তুমি জিতবেই। তুমি বিজেপিকে হঠাতে পারবেই। একটা পার্টি টাকায় চলছে। তারাই আমাদের প্রধান শত্রু। আমরা চেয়েছিলাম বিজেপি বিরোধী ফ্রন্ট একসঙ্গে আসুক। কিন্তু কেউ যদি অহঙ্কার নিয়ে বসে থাকে, তবে একলা চলো। লড়াই করতে হবে। একটা একটা করে ফুল দিয়ে মালা গাঁথব।