কলকাতা ব্যুরো: দিন দশেক আগেই সারদা মামলায় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করেছিল ইডি। সেখানে নাম ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। আর বৃহস্পতিবার সেই মামলায় জামিন পেলেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ। ব্যক্তিগত ২০ হাজার টাকার বন্ডে বিশেষ আদালতে আজ তাঁর জামিন মঞ্জুর হয়। তবে কুণালকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে, এই শর্তেই তাঁকে জামিন দেয় আদালত।

প্রসঙ্গত, সারদা কান্ড নিয়ে ২ সপ্তাহ আগেই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয় ইডি। কুণালের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, একটি সংবাদ মাধ্যমের দায়িত্বে থাকাকালীন তিনি টাকা নয়ছয় করেছেন। এই মামলাতেই ২০ সেপ্টেম্বর কোর্টে আসার জন্য সমন পাঠানো হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবারই তিনি স্পেশাল কোর্টে এসে আত্মসমর্পণ করেন।

আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে ইডি কুণালকে ফের একবার ‘প্রভাবশালী’ তকমা দেয়। কেন্দ্রীয় আর্থিক তছরুপ তদন্তকারী সংস্থা চার্জশিটে জানায়, এটি জনসাধারণের টাকা। তাই কুণালরা বাইরে থাকলে সমস্যা হতে পারে। কুণালের জামিনেরও বিরোধিতা করে ইডি। পাল্টা হাইকোর্টের নির্দেশে কুণালের আইনজীবী উল্লেখ করেন, তিনি পরিচিত মুখ। কোথায় পালাবেন! যেহেতু কুণাল নিজে এসে সহযোগিতা করেছেন, তাই এ দিন তাঁর জামিন মঞ্জুর করে আদালত।

ইডির চার্জশিটে কুণাল ঘোষের ‘স্ট্র্যাটেজি মিডিয়া’ সংস্থার নাম রয়েছে বলে খবর। ইডির ভাষায় এই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটকে প্রসিকিউশন কমপ্লেনও বলা হয়ে থাকে। বিচারক ইডির সেই প্রসিকিউশন কমপ্লেন গ্রহণ করেন। এরপরই ইডির পক্ষ থেকে চার্জশিটে নাম থাকা ব্যক্তি ও সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে বিচার শুরু করার আবেদন জানানো হয়েছে। সেই মতোই আদালতে এবার শুনানি শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।

তবে এদিন সারদা মামলায় ইডির তরফে কুনাল ঘোষের জামিন এর তীব্র বিরোধিতা করা হয়। ইডির তরফে আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র বিচারককে জানান কুনাল ঘোষ এর সম্পূর্ণ যোগাযোগ রয়েছে ওই চিট ফান্ড সংস্থার সঙ্গে এবং তিনি প্রভাবশালী। যদিও কুনাল ঘোষ এর আইনজীবি ইডির আইনজীবীর বক্তব্য সঠিক নয় বলে সওয়াল করেছেন। দীর্ঘ টানাপোড়েন এর পর আদালত অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছে। 

উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বতীকালীন জামিন পান সারদা মামলায় অভিযুক্ত প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। ২ লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁর জামিন মঞ্জুর করে আদালত। আদালতের নির্দেশ ছিল, কুণালের পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে সিবিআইয়ের কাছে। নারকেলডাঙা থানার বাইরেও জেতে পারবেন না কুণাল। ২৩ নভেম্বর ২০১৩, গ্রেফতার করা হয়েছিল কুণাল ঘোষকে। প্রায় তিন বছর পর তাঁর জামিন হয়।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version