কলকাতা ব্যুরো: যাকে নিয়ে আলোচনা, ফিসফাস দলে অনেক দিনই আছে। আবার বিরোধীদের আলোচনা এবং টার্গেটও অনেকাংশে তিনি। কিন্তু কোনদিনই সেভাবে সরাসরি প্রায় তার নাম করে আলাদা করে আলোচনা করেন না শাসক দলের কোনো নেতাই। রবিবার যা করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ। তৃণমূলের দলীয় অফিসে বসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে তোপ দাগলেন কুনাল। কারণ যে ‘ছদ্ম’ নামে তাকে ডাকে গোটা বাংলা, বিজেপি কেন সেই ছদ্মনাম ভাইপো তাকে ডাকবে, প্রশ্ন তুললেন কুনাল ঘোষ। তা নিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে তার হুঁশিয়ারি, ভাইপো না বলে তার নাম ধরে অভিযোগ করুন, তাহলেই সাহস বুঝবো।
রাজনীতিতে ছদ্ম নাম বা ব্যাক্তি বোঝাতে এমন নানা নামে ডাকার বিষয় এসেছে, একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আর পাল্টা অভিযোগ আসা নতুন নয়। কিন্তু এ রাজ্যে ভাইপো এখন এমন একটি কয়েনেজ হয়ে গিয়েছে, যা বললে প্রায় রাজনীতিসচেতন সব মানুষই বোঝেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাই বলা হচ্ছে। আবার ঠিক যেমন মানুষ জানেন দিদি বা দিদিমণি বললেই বোঝায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা। কিন্তু তা নিয়ে কোনো দিনই কেউ প্রকাশ্যে এর বিরোধিতা করেননি কিন্তু এদিন তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক সম্মেলনে সেই ডাকনাম ইসু করলেন কুনাল।
শাসক দল নেতারা তাদের ঘনিষ্ঠমহলে ফিসফিস করে ভাইপো থেকে যুবরাজ অনেক কিছুই বলে থাকেন আবার কেউ কেউ তাকে দাদা হিসেবে উল্লেখ করেন। কিন্তু ভাইপোর কয়েনেজ নিয়ে এমন প্রকাশ্যে অভিযোগ এবং তাকে ঘিরে তৃণমূলের সরকারি সাংবাদিক সম্মেলন থেকে পাল্টা আক্রমণে ঘটনা সম্ভবত এই প্রথম।।
কোনদিন অভিষেক সম্পর্কে বাড়তি কেউ কোন কথাই বলেন না। সকলেই জানেন শুধু তিনি ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বা যুব তৃনমূলের শীর্ষ নেতা নন, তিনি আরো অনেক কিছুই। কিন্তু তা নি য়ে ঘনিষ্ঠ মহলে ছাড়া আলোচনা কেউই করেন না। সকলেই ওই বিষয়টি অতি স্পর্শকাতর বলে হয়তো মনে করেন।
তৃণমূলের ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের হয়ে কুণাল ঘোষের এই বক্তব্য সম্পর্কে পাল্টা বক্তব্য দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বা ভাইপো যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাতে কিছুই যায় আসে না। তাদের যা বলার তারা ঠিক সময়ে বলবেন।