কলকাতা ব্যুরো: সুন্দরবন কোস্টাল থানায় রবিবার সকালে ভাঙচুর এবং মারধরের ঘটনায় পুলিশ তদন্তে নামল। গোসাবার রাধানগর- তারানগর পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি -তৃণমূল গোলমালে শনিবার কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
এই ঘটনায় ধৃত তৃণমূল কর্মীদের ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে রবিবার সকালে থানায় হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। ব্যাপকভাবে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। থানায় ভাঙচুর হয়। টেবিল, চেয়ার, বাইক ভাঙ্গা হ্য়। এমনকি দুটি বাইক থানা থেকে লুট করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।ওই হামলায় সাত জন সিভিক ভলেন্টিয়ার সহ অন্তত ১২ জন পুলিশ কর্মী জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ.
ঘটনা প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, শনিবারের ঘটনা রবিবার আলোচনা করতে কয়েকজন তৃণমূল নেতার থানায় আসার কথা ছিল। কিন্তু সকালে দেখা যায় কয়েকশো তৃণমূল সমর্থক, যাদের অনেকের হাতেই দলীয় ঝান্ডা ছিল, তারা এসে বিক্ষিপ্তভাবে ভাঙচুর শুরু করে। সিসিটিভি ক্যামেরা থেকে শুরু করে গাড়ি থানার দরজা ভাঙা হয়। ইটের আঘাতে মহিলা পুলিশ কর্মীরাও জখম হন। তাদের অভিযোগ, তৃণমূল এই ঘটনায় পিছনে রয়েছে।স্থানীয় বিজেপির নেতারাও গোটা ঘটনার পিছনে তৃণমূলের যোগ আছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। যদিও গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক পাল্টা দাবি করেছেন, থানায় হামলায় বিজেপির লোকজন জড়িত।ঘটনার পরে ক্যানিং থেকে এসডিপিও সহ বাড়তি বাহিনী সুন্দরবন কোস্টাল থানায় পাঠানো হয়েছে।