কলকাতা ব্যুরো: রাস্তার উপরে শুয়ে রয়েছে এক বাঘ বিশাল আকারের সেই বাঘ নিয়ে এখন কুলতলির গ্রামে আতঙ্ক। সোমবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলী বৈকন্ঠপুর এলাকায় হঠাৎই বাঘ ঢুকেছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। এর কিছুক্ষণ পরেই খোঁজ পাওয়া যায় মৈপি ঠ কোস্টাল থানার ভীম নায়েকের গোয়ালে সন্ধ্যায় হানা দিয়েছিল বাঘ। একটি গরুকে মেরে টেনে নিয়ে গিয়েছে জঙ্গলে। এলাকার লোকজন জড়ো হতে শুরু করতেই গোয়াল ছেড়ে বাঘ বেরিয়ে পড়ে।এরপর গ্রামবাসীরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন বাঘের। খবর জানায় থানা এবং বনদপ্তরে। এর মধ্যেই বৈকন্ঠপুর গ্রামের রাস্তায় এক ব্যক্তি কিছু একটা দেখতে পেয়ে টর্চের আলো জ্বালাতেই তার আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড়। রাস্তার এপার ওপার জুড়ে শুয়ে রয়েছে বাঘ।
কুলতলির মানুষের বাঘের সঙ্গে ঘর করার অভ্যাস আছে। তাই দশ ফুট দূর থেকেই সেই গা এলিয়ে রাস্তায় শুয়ে থাকা বাঘের ছবি মোবাইলে তুলেছেন গ্রামবাসীরা। বনদপ্তর এর প্রাথমিক অনুমান, ঠাকুরানী নদী পেরিয়ে চিতুরি জঙ্গল থেকে বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। রাত পর্যন্ত সেই রয়েল বেঙ্গল টাইগার শুয়ে রয়েছে সেই রাস্তাতেই। প্রাথমিকভাবে বনদপ্তর মনে করছে, কোন কারণে লোকালয় বেরিয়ে এসে গোয়ালে ঢুকে গরু মারলেও বাঘটির পেটভর্তি থাকাতেই সে এখন ওখানে শুয়ে আছে। রাতেই বাঘ বন্দী করার জন্য বনদপ্তরের বিশেষজ্ঞ টিমকে রাতেই মৈপীঠ যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই জায়গা জাল দিয়ে ঘেরার প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। কিন্তু রাস্তার দুদিকেই জঙ্গল থাকায় কতটা জাল ঘেরা যাবে তা নিয়েও সংশয় রয়েছে গ্রামবাসীদের।প্রায় দেড় দশক আগে এই কুলতলিতেই তাল গাছের উপরে বাঘ উঠে পড়ায় প্রথম সেই অর্থে হুলস্থুল পড়ে গিয়েছিল চারিদিকে।