%%sitename%%

এক নজরে

Lakhimpur: মমতার বার্তা নিয়ে লখিমপুরে পৌঁছলো তৃণমূলের সাংসদ দল

By admin

October 05, 2021

কলকাতা ব্যুরো: কৃষক আন্দোলনে অগ্নিগর্ভ উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে পৌঁছল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। সোমবার লখিমপুর খেরিতে দুই কৃষকের মৃত্যুর জেরে হওয়া সংঘর্ষের পরই ওই ঘটনা নিন্দা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছিলেন, “রামরাজ্য নয়, উত্তরপ্রদেশে চলছে কিলিংরাজ।” ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে পৌঁছেছেন সাংসদ দোলা সেন, আবীররঞ্জন বিশ্বাস ও প্রতিমা মণ্ডল।

সোমবার সকাল ৬টা নাগাদ কলকাতা থেকে সাংসদরা রওনা দেন। দিল্লি পৌঁছন আটটার কিছুটা আগেই। সেখান থেকে গাড়িতে পৌঁছন লখিমপুরে। তাঁদের এই যাত্রাপথে মোট বারো-তেরোবার তাঁদের পুলিশ আধিকারিকরা আটকান ৷ কোনও মতে এদিন তাঁরা লখিমপুরে পৌঁছতে পারেন ৷ এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ তাঁরা লউপ্রীত সিংয়ের গ্রাম ভগবন্তপুরে পৌঁছতে পারেন ৷ সেখানে তাঁরা সকাল সাড়ে ন’টা অবধি ছিলেন। তারপর সেখান থেকে যান নিশাত্তর সিংয়ের গ্রাম লাহবাড়িতে। সেখানে তাঁরা বেলা সাড়ে বারোটা পর্যন্ত ছিলেন ৷

মঙ্গলবার দোলা সেন সংবাদমাধ্যমকে জানান, পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে লখিমপুরে পৌঁছেছেন তিনি এবং আবিররঞ্জন বিশ্বাস ৷ প্রতিমা মণ্ডলও সঙ্গে রয়েছেন ৷ তাঁরা কথা বলেছেন কৃষক নেতা এবং নিহত ৫ কৃষকের পরিবারের সঙ্গে। তবে লখিমপুর খেরিতে যেতে পারেননি কাকলি ঘোষদস্তিদার ও সুস্মিতা দেব । যোগীর প্রশাসন তাঁদের বাধা দিয়েছে। তাই তাঁরা লখনউ ফিরে যান। দোলা বলেন, “লখিমপুরের খেরিতে কৃষক পরিবারের পাশে আছি আমরা। আমরা সেখানে তাঁদের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। উত্তরপ্রদেশ–সহ দেশজুড়ে মানুষের ওপর যে অত্যাচার চলছে তা নজিরবিহীন।”

লখিমপুরের ঘটনায় সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব। অন্যদিকে কাকলি ঘোষ দস্তিদার জানিয়েছেন, এ ধরনের নৃশংস ঘটনা গণতন্ত্রের জন্য লজ্জার। যোগীর রাজ্যে গণতন্ত্র অবশিষ্ট নেই। যেকোনও ছোট্ট ঘটনা ঘটলে বিজেপি বাংলায় প্রতিনিধি দল পাঠায়। কিন্তু লাগাতার আন্দোলন তথা অন্নদাতাদের দুঃখে প্রধানমন্ত্রী ভাবিত নন।