কলকাতা ব্যুরো: কেউ বিমানে ওঠার সিঁড়ির গা বেয়ে চড়ার চেষ্টা করলেন ৷ আবার কেউ কেউ সামনের জনকে ঠেলে ফেলে উপরে উঠে গেলেন ৷ যেনতেন প্রকারেণ একবার বিমানে উঠতে পারলেই বাঁচোয়া ৷ সোমবার সকালে কাবুল বিমানবন্দরে এমনই শিউরে ওঠা দৃশ্য দেখা গিয়েছে ৷ বিমানবন্দরে হাজার হাজার মানুষের ভিড় ৷ টিকিট নেই, ভিসা নেই ৷ কিন্তু সবার মাথায় একটাই চিন্তা, প্রাণ বাঁচাতে হলে আফগানিস্তান ছাড়তে হবে ৷ আর তাই বিমানে ওঠার এমন মরিয়া চেষ্টা ৷
সোমবার থেকেই কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জনস্রোত দেখা গিয়েছে ৷ রবিবার দুপুরে শোনা যায়, কাবুলে ঢুকে পড়েছে তালিবানরা ৷ সড়কপথে আফগানিস্তান ছাড়ার উপায় নেই ৷ তাই হাজার হাজার মানুষের গন্তব্য ছিল বিমানবন্দর ৷ হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের রানওয়ের মধ্যে অপেক্ষা করতে দেখা যায় প্রচুর মানুষকে ৷
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমেরিকান সেনা শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় ৷ তারপরই দেখা যায় বিমানে ওঠার ফ্রন্ট ডোরের সিঁড়িতে ওঠার জন্য রীতিমতো হুড়োহুড়ি করছে মানুষ ৷ অনেকে আবার রানওয়ের মধ্যে ঘোরাঘুরি করতে থাকেন ৷ দেখে মনে হচ্ছিল সব আশা ছেড়ে দিয়েছেন ৷ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া সেইসব ছবি, ভিডিয়ো আঁতকে ওঠার মতো ৷
সেরকমই এক ভিডিয়ো টুইট করে একজন লিখেছেন, “সকাল ৭টা ৪৫-এ আফগানিস্তানের পরিস্থিতি দেখুন ৷ গুলিতে কয়েকজনের মারা যাওয়ার খবর ছড়াতেই বিমানে ওঠার হুড়োহুড়ি লেগেছে ৷ যে কোনও মূল্যে আফগানিস্তান ছাড়তে হবে তাঁদের ৷ তালিবানদের হাতে থেকে মুক্ত হতে হবে ৷”
অন্য একজন লিখেছেন, “কোনও সাহায্য নেই ৷ নিরাপত্তা নেই ৷ এই নিরপরাধ মানুষগুলোর জীবন বাঁচাতে কিছু করুন ৷” একটি ভিডিয়োতে আবার দেখা যাচ্ছে, বিমানবন্দরের বাইরে ইতিউতি পড়ে রয়েছে দেহ ৷ জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কাবুল বিমানবন্দরে গুলিতে কমপক্ষে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।