কলকাতা ব্যুরো- করোনা পরিস্থিতিতে সমস্ত দেশ জুড়ে লকডাউনের পর এটাই নতুন বছরের প্রথম পূজা। বিদ্যার দেবী সরস্বতী আরাধনায় মাততে তৈরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পড়ুয়ারা। তবে এবছর সেই আরাধনায় কিছুটা ফিকে পড়েছে। করোনা মহামারি অনেক কিছুতে থাবা বসিয়েছে, তার মধ্যে অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেকটাই ক্ষতি হয়েছে কিন্তু সেই ক্ষতির মধ্যেই বিদ্যাদেবীর আরাধনা। স্কুলগুলো খুললেও পড়ুয়ারা যেতে পারবে না। ফলে নামমাত্র পুজো হবে স্কুলগুলিতে। ফলে প্রতিমা শিল্পীদের বাজার মন্দা, খুবই সমস্যায় পড়েছেন তারা। তাদের বক্তব্য, প্রতিমার তেমন চাহিদা নেই, নেই তেমন বিক্রি। প্রতিমাশিল্পীরা প্রতিমা গড়ে বসে আছেন বিক্রির আশায়। দু একটা বিক্রি হলেও বাজেট কম। ফলে নামমাত্র লাভ রেখে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বড় ক্লাবগুলির বাজেট কমেছে। ফলে ছোট প্রতিমায় মন ভরাচ্ছেন তারা। কিন্তু প্রতিমা শিল্পীদের মাথায় হাত। কেশিয়াড়ির শিল্পীদের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেল কেশিয়াড়ি ব্লকের মৃত্শিল্পীদের। খড় ও মাটি দিয়ে তৈরি প্রতিমার গায়ে চলছে রংয়ের প্রলেপ। চলছে রোদে শুকিয়ে রঙ ও অলঙ্কার পরানোর কাজ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ির পুরোনো মৃৎশিল্পী কালিপদ আচার্য জানান, এবছর পুজোর প্রভাব অনেকটাই কমে গেছে তাই বড় প্রতিমা বিক্রির ক্ষেত্রে অনেকটাই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। প্রায় দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে বিভিন্ন দেব দেবীর প্রতিমা তৈরি করে আসছেন তিনি। শিল্পীর কথায় এক একটি প্রতিমা সাতশো টাকা থেকে ,এক হাজার,দু হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। লকডাউনের জেরে প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বাড়লেও প্রতিমার দাম বাড়ানো হয়নি বলে জানান শিল্পীরা।