কলকাতা ব্যুরো: দুদিন ধরে টানা বৃষ্টি না হলেও রোদের দেখা এখনো তেমন ভাবে পাওয়া যায়নি। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়ে দিয়েছে, আগামী শনিবার পর্যন্ত এই আবহাওয়া চলবে। যদিও শহর কলকাতায় ভারী বর্ষণের আশঙ্কা তেমন নেই। যদিও রাজ্যজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে ও লাগোয়া ডুয়ার্স অঞ্চলে। আবহাওয়া দপ্তরের বক্তব্য অনুযায়ী, নিম্নচাপের প্রভাব এখনো বাংলায় রয়ে গিয়েছে। যার ফলে এই আকাশ মেঘলা এবং রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলছে। আরও তিনদিন এই অবস্থায় চলবে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।
এর সঙ্গে আগামী ২৬ জুন ভরা কোটালের জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা এখন থেকেই সতর্ক করা হয়েছে নদী তীরবর্তী জেলা গুলিকে। পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনার সুন্দরবন লাগোয়া এলাকায় নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরানোর জন্য রাজ্য সরকার আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। ব্লকগুলি থেকে বাঁধের অবস্থা দেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর এবং পাথর প্রতিমায় বাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া গিয়েছে। যদিও ব্লক প্রশাসনের দাবি, এখনো পর্যন্ত কিছু বাধ ঠিকভাবে মেরামত করতে বাকি রয়েছে। তবে কোথাও বাধ ভাঙার খবর নেই। যদিও ২৬ জুন তিন মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কায় যথেষ্টই চাপে রয়েছে প্রশাসন।
এদিকে নিম্নচাপ অক্ষরেখাটি অত্যন্ত সক্রিয় থাকার কারণে প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প ঢুকছে পশ্চিমবঙ্গে এবং বাংলাদেশে। ফলে গোটা সপ্তাহ জুড়েই হালকা এবং মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা থেকে গিয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। মূলত পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। এছাড়াও শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা দুই ২৪ পরগনা ও কলকাতাতে। শুক্রবার পর্যন্ত বৃষ্টি হবে পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে। নদীয়াতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।কলকাতায় নতুন করে ভারী বৃষ্টি না হলেও বেহালা থেকে বরানগর বিভিন্ন এলাকায় তিন দিন আগের বৃষ্টিতে এখনো জল জমে থাকায় বিরক্ত নাগরিকরা। বেহালা, ঠাকুরপুকুর এলাকায় জল জমার সমস্যা খতিয়ে দেখতে কলকাতা পুরসভার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ববি হাকিম বুধবার নিজেই ওইসব এলাকায় যান। জল নামানোর ক্ষেত্রে করণীয় ঠিক করতে সেখানে ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে বেহালার এবং ঠাকুরপুকুর এর নিচু এলাকা থেকে জল কবে পুরোপুরি নামবে, তা নিয়ে সন্ধিহান নাগরিকরা।