কলকাতা ব্যুরো: একজন পা জখম হওয়ার দিন পাঁচেকের মাথায় হুইল চেয়ারে বসেই বেরিয়ে পড়লেন রাস্তায়। প্রথমে হাজরা মোড় জনসভা থেকেই এই পর্যায়ে প্রচার শুরু পরিকল্পনা থাকলেও, একেবারে শেষ মুহূর্তে মেয়ো রোড থেকে মিছিল করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঁচ কিলোমিটার এলেন হাজরা মোড়ে।আর তার ঘন্টা দুয়েকের মধ্যেই খড়্গপুরে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে রোড শো করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির নেতা অমিত শাহ। কাতারে কাতারে লোক নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় ঘন্টা দুয়েক পরে শুরু হওয়া শাহের রোড শোয়ে ভিড় জমান। এক কিলোমিটার পথ পেরুতে সময় লেগে গেল প্রায় ঘন্টাখানেক।
নন্দীগ্রামে পা মচকে প্রথমে চক্রান্ত অভিসন্ধি তত্ত্ব খাড়া করলেও বিষয়টা ঠিকমতো ইস্যু করে তোলা যায়নি, বুঝতে পেরেই শেষ পর্যন্ত হুইলচেয়ারে রাজ্য সফরের একেবারে নয়া পন্থা নিয়ে ফেলে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী এদিন হুইল চেয়ারে করে যখন মেয়ো রোড থেকে হাজরা মোড়ে আসছেন, তখন সঙ্গে তার দলের প্রথম সারির নেতারা হাঁটছেন। আর হাজরা মোড় থেকেই তিনি জানিয়ে দিলেন তিনি চলে যাচ্ছেন দুর্গাপুর। সেখান থেকে পুরুলিয়া। সোমবার জঙ্গলমহলে প্রচার করবেন তিনি। গোটা রাজ্য হেলিকপ্টারে আর হুইল চেয়ারে চষবেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুইলচেয়ারে ভোট প্রচার একটা ভালো স্টান্ট হতে পারে গ্রাম গঞ্জের মানুষের কাছে। যে সহানুভূতির হাওয়া তোলার চেষ্টা হয়েছিল যখন জখম পা কে সামনে রেখে, তার থেকে হুইলচেয়ারে এই প্রচার অনেকটাই বাড়তি মাইলেজ দিতে পারে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। কেননা মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেছেন, চিকিৎসকরা তাকে ১৫ দিন বেড রেস্টে থাকতে বলেছিলেন। কিন্তু তা করলে যারা এ রাজ্যের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চালাচ্ছে, তাদের সুবিধা হয়ে যাবে। তাই মানুষের স্বার্থে তিনি হুইলচেয়ারে বেরিয়ে পড়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এমনভাবে বেরিয়ে পড়ার উদাহরণ আগেও ছিল। ফলে এক্ষেত্রে তার এই স্টান্ট কিছুটা সহানুভূতি হাওয়া তুলতে পারে বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
অন্যদিকে অমিত শাহ আগের ঘোষণা অনুযায়ী এদিন খড়্গপুরে যান। সেখানে দলীয় অভিনেতা প্রার্থীকে নিয়ে রোড শোয়ে অংশ নেন। এদিন সন্ধ্যের পর খড়গপুরে একটি হোটেলে থেকে প্রথম দফার ভোটের জন্য দলীয় নেতাদের সঙ্গে ভোটের ট্যাকটিকস নিয়ে আলোচনা করার কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। সোমবার তার ঝাড়গ্রামে সভা করার কথা। ফলে একটি বিষয় স্পষ্ট, দুইদলের সেনাপতিই রাজ্যজুড়ে প্রচারের ক্ষেত্রে একচুলও জমি কেউ কাউকে ছাড়ছেন না