কলকাতা ব্যুরো: ঘুম ভাঙছে এ রাজ্যের কেয়ারটেকার সরকারের। করোনার থাবা যখন প্রাণ কাড়তে শুরু করেছে তখনও অবশ্য বিধি মানাতে ধরি মাছ, না ছুঁই পানি অবস্থান নিয়েছে সরকার। যেখানে এত লোক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে কেন সেখানে সরকার শুধুমাত্র বিভিন্ন ক্ষেত্রে আবেদন-নিবেদনের রাস্তায় হাঁটছে, সেই প্রশ্নে কিন্তু বড় হয়ে উঠছে। ফলে এখনই কোন কড়া অবস্থান নিয়ে যেসব জায়গায় ভোট বাকি রয়েছে সেইসব ভোটারদের বিরাগভাজন না হওয়ার এটা কৌশল কি না তা এখন চর্চার বিষয়।
বাংলা নববর্ষের উৎসবে কোভিড বিধি মেনে ছোট করে অনুষ্ঠান করার অনুরোধ জানালো রাজ্য সরকার। কলকাতা শহরে যে সব এলাকায় করোনা সংক্রমণ বাড়ছে সেই সব এলাকায় মাইক্রো কন্টেনমেন্ট জোন তৈরির ব্যাপারটা এখনও ভাবনা চিন্তার স্তরেই রইলো।
এদিন করোনা বিধি মানাতে জেলা শাসকদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করে নবান্ন। বাংলা নববর্ষ বা চৈত্র সংক্রান্তিতে কোনও বড় অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হবে না। রাজ্যের যে জেলাগুলিতে নির্বাচন হয়ে গিয়েছে সেখানকার জেলাশাসকরা ছিলেন এদিনের ভিডিও কনফারেন্সে। আজ, মঙ্গলবার ফের মুখ্যসচিব বৈঠক করবেন। এই বৈঠকে থাকবেন পঞ্চম ও ষষ্ঠ দফার ভোট যে জেলাগুলিতে হচ্ছে, সেখানকার জেলাশাসকরা। রাজ্যে এই মুহুর্তে ৩০ হাজার ভ্যাকসিন রয়েছে। তবে সোমবার রাতেই সাড়ে চার লক্ষ কোভিশিল্ড আসছে। যা চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট কম বলেই মনে করছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তারা। যদিও কেন্দ্র আশ্বাস দিয়েছে ২ দিনের মধ্যে আরও ভ্যাকসিন আসছে।
রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারি দপ্তরে কর্মী উপস্থিতি যেমন ৫০ শতাংশ থাকবে। বেসরকারি সংস্থাগুলিও যাতে ৫০ শতাংশ কর্মীর উপস্থিতিতে কাজ করে তার জন্য জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করতে বলা হয়েছে। যেসব ক্ষেত্রে সম্ভব সেই সব ক্ষেত্রে বাড়ি থেকে কাজ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে। যে সব সেফ হোম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, সেগুলিকে সক্রিয় করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ পরিকাঠামো বাড়ানোর কথা বৈঠকে বলা হয়েছে।