কলকাতা ব্যুরো : একুশের বিধানসভা নির্বাচন মোটামুটিভাবে এপ্রিল মাসে হবে বলে শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন সূত্র মারফত। তবে তার আগেই কি বাংলা জুড়ে দেখা যাবে মিনি নির্বাচন পর্ব? সেই প্রশ্ন জোরদার হয়েছে শুক্রবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের একটি নির্দেশে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে হাওড়াসহ ১০৬টি পুরসভার নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সেইসব পুরসভাগুলিতে ভোটের দাবি তুলেছেন বিরোধীরা। কিন্তু প্রত্যেকটি জায়গায় প্রশাসক বসিয়ে বোর্ড চালানো হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন সুযোগ-সুবিধা পুরোপুরি সেভাবে পাচ্ছেন না, এই অভিযোগে সরব বিরোধী দলগুলি। বিষয়টি নিয়ে বিরোধী দল মামলা দায়ের করে হাইকোর্টে।
শুক্রবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে দ্রুততার সঙ্গে এই সমস্ত পুরসভায় নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। অর্থাৎ হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে যদি রাজ্য সরকার এখনই নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করে দেয়, তাহলে মেগা বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যবাসী অবশ্যই একটি মিনি নির্বাচন পর্ব প্রত্যক্ষ করবে। স্বাভাবিকভাবেই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদিও এই তালিকায় নেই কলকাতা পুরসভা। কারণ সেখানে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। পুরসভাগুলির ক্ষেত্রে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য হাওড়া জেলা সিপিএম এক বছর আগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে নির্বাচনের ব্যাপারে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এমন নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অবিলম্বে নির্বাচন প্রক্রিয়া করার জন্য তারা যেন রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে। যদিও হাইকোর্টের এই নির্দেশের পরও রাজ্য সরকার পুরসভাগুলিতে নির্বাচন করবে কিনা সেই বিষয়টি নিয়ে ধন্দে রয়েছেন বিরোধী নেতারা।প্রসঙ্গত, হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাচ্ছে এটা কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। দু বছরের বেশি সময় ধরে হাওড়া পুরসসভায় নির্বাচন হয়নি। সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না।
এই অভিযোগ বহুদিন ধরে করছেন রথীন চক্রবর্তী। তাই এদিন হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে হাওড়া সহ ১০৬টি পুরসভার প্রত্যেকটিতে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে রাজ্য সরকারকে। কিছুদিন আগে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, আদালতের নির্দেশ পেলেই নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। যদিও সেটা তিনি বলেছিলেন কলকাতা পুরসভার পরিপ্রেক্ষিতে। এখন আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর রাজ্য সরকার বিষয়টি নিয়ে কি সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই দেখার।