মৈনাক শর্মা
কিন্তু কয়েক মাস ধরেই বেড়ে চলেছে ভোজ্য তেলের দাম। সরকারি হিসেবে এক বছরেই বেড়ে যায় ২০ থেকে ৫০ শতাংশ। সর্ষের তেলের দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ। অন্যদিকে সোয়া ও সান ফ্লাওয়ার তেলের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ।
দাম বাড়ার আসল কারণ কি?
মোট চাহিদার প্রায় ৫৬ শতাংশ ভোজ্য তেল আমদানি করে দিল্লি। বিগত কয়েক দিনে তেলের দাম বেড়েছে বিশ্ব বাজারে। মূলত মালয়েশিয়া, বুর্সা থেকেই ভারত, পাকিস্থান সহ এশিয় দেশগুলিতে রপ্তানি করা হয় ভোজ্য তেল। তবে গত বছরের ২২৮১ রিংগিত প্রতি টন, যা এই বছরের মে মাসে ৩.৮৯০ রিংগিত প্রতি টন দাড়ায় তেলের দাম। সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া সংস্থার প্রধান বি ভি মেহেতার মতে, খাবার তেলের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ হল, উদ্ভিদ তেল থেকে জৈব জ্বালানি তৈরির উপর জোর দেওয়া। তাছাড়া অনন্যা কারণের মধ্যে রয়েছে চিনের অধিক কেনাকাটা, মালয়শিয়ার শ্রমিক সমস্যা। পাম ও সোয়া তেল তৈরী এলাকায় আবহিক লা নিনার কারণে কম বৃষ্টি পাত।
এফ এ ওর মতে, ২০২১-২২ সালে এই আবহীক কারণেই মার্কিন এলাকাতে সোয়া তেল উৎপাদনের ঘাটতির সম্ভাবনা জানিয়েছে যুক্তরাষ্টের সোয়া তেল তৈরী সংস্থাগুলি। অন্যদিকে আর্জেন্টিনায় গড় তাপমাত্রা কমের কারণে শুষ্কতার জন্য কমে আসবে সেখানে সোয়া তেলের ফলন।
তাছাড়া রয়েছে অধিক মাত্রায় রপ্তানি কর। বর্তমানে কৃষি, পরিকঠামা ও সমাকল্যাণ নিয়ে ট্যাক্স ও তাঁর উপর কর অর্থাৎ CESS বেড়েছে ৩৫.৭৫ শতাংশ। একই ভাবে আগের তুলনায় (৩৮.৫০%) ভোজ্য তেলের আমদানি উপর কর বেড়েছে ৪৯.৫০ শতাংশ। বিশ্লেষকদের মতে, ভবিষতে আরো বাড়তে পারে খাবার তেলের দাম। তবে আপাতত রপ্তানির উপর টাক্স কম করা যেতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ইতিমধ্যেই ভারতের বাজারে সামান্য হলেও তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। তেলের দাম বা ভোজ্য তেল ভর্তুকির আওতায় নিয়ে এসে পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন এর অধীনে এইগুলি উপলব্ধ করা উচিত।