কলকাতা ব্যুরো: বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে দুই সংখ্যায় আটকে দেওয়ার পর তৃণমূলের বৃহস্পতি স্বভাবতই এখন মধ্য গগনে। আর তাতেই ভোটের ফল প্রকাশের ১৫ দিন পেরোনোর পরেই এখন বিদ্রোহ ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার জন্য মরিয়া অ্যায়া রাম, গয়া রামরা। বসিরহাটের অজ্ঞাতকুলশীল ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাস ভোটের আগে বিদ্রোহ করে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। আর ভোট মিটতেই এখন হঠাৎ তিনি বিজেপির সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পারার যুক্তিতে ফিরতে চাইছেন তৃণমূলে। তবে তৃণমূলে ফিরতে চাওয়ার তালিকা এখনো পর্যন্ত বড় নাম সোনালী গুহ। রীতিমতো টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আচলের নিচে থাকার জন্য তিনি আবেদন করেছেন। জল ছাড়া যেমন মাছ বাঁচে না, তিনি তেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া থাকতে পারবেন না বলেও যতটা সম্ভব মাথা নিচু করার করে দিয়েছেন। এই তালিকায় সর্বশেষ সংস্করণ সরলা মুর্মু। মালদার হবিবপুরের এই নেত্রীকে তৃণমূল বিধানসভায় প্রার্থী করার পরেও তিনি দল ত্যাগ করে বিজেপিতে গিয়েছিলেন। এদিন তিনিও তৃণমূলে ফেরার জন্য গুটি গুটি পা বাড়িয়েছেন।

যদিও এদের তৃণমূলে ফেরানোর ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে দাবি তৃণমূলের। কিন্তু এখন প্রশ্ন, এবার বিজেপি যে আক্রমনাত্মক মেজাজে তৃণমূলকে সাফ করতে প্রচার চালিয়ে ছিল, সেই জায়গায় তৃণমূলের অনেকেই হাওয়া আঁচ করতে না পেরে চলে গিয়েছিলেন পদ্ম শিবিরে। যাদের অনেককেই বিজেপি টিকিট দিলেও, তারা গো হারা হ়েয়েছেন। এখন তৃণমূল ২১৮ টি আসন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরার পর এই সমস্ত ক্ষমতা লোভীরা আবার ফিরতে চাইলেও তৃণমূল তাদের নেবে কিনা তা নিয়ে জোর চর্চা দলেই।
ইতিমধ্যে তৃণমূল যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য রসিকতা করে একটি লিফলেট প্রকাশ করেছেন। তাতে দল ত্যাগীদের রীতিমতো কটাক্ষ করে নানান প্রশ্ন ছোড়া হয়েছে ওই লিফলেটে। কে কবে দল ছেড়েছেন, কি কারণে দল ছেড়েছেন, এখন আবার কি কারণে দলে ফিরতে চাইছেন, সেইসব লিফলেটে লেখার জন্য জায়গা দেওয়া হয়েছে। ফলে তৃণমূলের তরফে একটি বিষয় স্পষ্ট, এখন অনেক শক্ত জায়গায় রয়েছে দল। ফলে এই অবস্থায় যে কেউ চাইলেই তাকে হুট করে আবার ফিরিয়ে নেওয়া, ব্যাপারটা এতো সহজ হবে না।