এক নজরে

হলফনামা নিয়ে কমিশনের মতামত জানতে চাইলো হাইকোর্ট

By admin

December 07, 2021

কলকাতা ব্যুরো: কলকাতায় কোভিড নেই! আর রাজ্যের অন্যান্য জায়গায় ভোট করার সময় কোভিডের প্রসঙ্গ উঠছে? পৌরভোট সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এমনই কটাক্ষ বিজেপির আইনজীবীর। পাশাপাশি বিজেপির আরও বক্তব্য, নির্বাচন কমিশন যে ইভিএম মেশিন দিয়ে পুরভোট করাবে বলছে তাতে ভিভিপ্যাট থাকবে না কিন্তু ভিভিপ্যাট ছাড়া কিভাবে নির্বাচন হবে? নির্বাচন কমিশনের দেওয়া হলফনামার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে প্রশ্ন তুললো বিজেপি।

অন্যদিকে হাওড়া জেলা সিপিআইএম তরফে আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় আদালতে গত কালকের মত মঙ্গলবারও ফের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নিয়ে কমিশনকে তীব্র কটাক্ষ করলেন। তিনি আদালতে বলেন, নির্বাচন কমিশন অন্য পৌরসভাগুলির ভোটের দিনক্ষণ আগে ঘোষণা করুক। না হলে পৌরসভাগুলিতে জনগণের টাকার বিপুল অপচয় করা হচ্ছে।

মামলাকারীদের বক্তব্য শোনার পর প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, নির্বাচন কমিশন গতকাল যে হলফনামা দিয়েছে, সেই হলফনামার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি ও সিপিএমের বক্তব্য লিখিত আকারে আগামী শুক্রবারের মধ্যে আদালতকে জানাক। পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য পুরসভায় ভোটের তারিখ ঘোষণা ও নির্বাচনে ভিভি প্যাট ব্যবহার করা হবে কি না এই সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা দিয়ে তাদের বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

এই মামলার ফের শুনানি রয়েছে আগামী শুক্রবার। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে বিজেপির আইনজীবী পিংকি আনন্দ বলেন, নির্বাচন কমিশন গতকাল যে হলফনামা দিয়েছ সেই হলফনামায় পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে কলকাতায় কোভিড নেই, কোভিড আছে শুধু রাজ্যের অন্যান্য পুরসভাগুলিতে। অন্যান্য পুরসভায় কবে ভোট করা হবে সে ব্যাপারেও কিছু স্পষ্ট করেনি নির্বাচন কমিশন।

পাশাপাশি ভিভিপাট কেন ব্যবহার করা হবে না এবং অতিরিক্ত ইভিএম এনে কেন ভোট করানো হবে না, সেই নিয়েও প্রশ্নও তোলেন তিনি। উল্লেখ্য লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনে ব্যবহৃত এম-৩ ইভিএমে ভিভিপ্যাট থাকে কিন্তু এম ১ এবং এম ২ ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাট থাকে না। পুরভোটে ব্যবহৃত হবে এই এম ১, এম ২ মেশিনই।

অন্যদিকে সিপিআইএম হাওড়া জেলা কমিটি যে মামলা করেছিল, সেই মামলার আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির তরফে এখন ভিভিপ্যাট নিয়ে কথা হচ্ছে কিন্তু আমাদের প্রধান বক্তব্য অন্যান্য পুরসভায় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা। তাঁর মতে, রাজ্যের গণতন্ত্রের এখন মুমূর্ষু রোগীর মতো অবস্থা। মুমূর্ষু রোগীর চিকিৎসার জন্য আগে হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন অর্থাৎ আগে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হোক। পরে অন্যান্য বিষয়গুলি বিচার করবে আদালত।